
বাংলা স্টার চাঁদপুর রিপোট–চাঁদপুর বড়স্টেশন মাছঘাটে উঠছে অর্ধগলিত পচা ইলিশ বিক্রি হচ্ছে। অভয়াশ্রম চলাকালীন ধরা ইলিশ ও সাগর থেকে আসা অর্ধগলিত ইলিশ চাঁদপুর মাছঘাটে উঠছে। চাঁদপুরের আশেপাশের কতিপয় অসাধু মৎস্য ব্যবসায়ী অভয়াশ্রমকালীন বরফজাত করে সংরক্ষণ করে রেখেছিল এসব মাছ। সেগুলোও এখন মাছঘাটে এনে বিক্রি করছে। অনেকে পচা মাছেও লবণজাত করে লোনা ইলিশ বানিয়ে বিক্রি করছে।
সোমবার সরেজমিনে ঘাটে গিয়ে দেখা যায়, সড়কপথে আসা সারি সারি ট্রাক, পিকআপ ও কাভার্ডভ্যান এবং পন্টুন ঘাটে নদী পথে আসা ৮-১০টি ফিশিং বোট ও বেশ কয়েকটি ট্রলারে এসব ইলিশ মাছ বোঝাই করে বিক্রির জন্য চাঁদপুর মোকামে আনা হয়েছে। যার অধিকাংশই পচা ও অর্ধগলিত ইলিশ। নিষেধাজ্ঞা শেষ হওয়ার একদিন পর থেকে শত শত মণ ইলিশ এসেছে দেশের এই ইলিশ অবতরণ কেন্দ্র চাঁদপুর মাছঘাটে। এত কম সময়ে এই বিপুল ইলিশের আমদানিতে বিস্মিত সবাই। ঘাট জুড়ে কেবল বাসি পচা ইলিশের দুর্গন্ধ। এদকিে চাঁদপুর মাছঘাটে পচা ইলিশের ব্যাপারে মৎস্য ব্যাবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক হাজী শবে বরাত জানান, আসলে এসব ইলিশ বর্তমান সময়ে ধরা হয়েছে।বরফ সংকটের কারণে কিছু মাছ নরম হয়ে গেছে। তাই বলে সব ইলিশ পচা নয়। ২২ দিনর অভিযানের মজুদ রাখা মাছ কি। না সে্ই মাছ না শেষ দিনে সাগরে
প্রচুর ইলিশ ধরা পরছে জেলেদের জালে সেই মাছ উঠছে।
ইলিশ মাছ কিনতে আসা ক্রেতারা বলছেন, নিষেধাজ্ঞার মেয়াদ শেষ হবার দুই তিনদিনের মধ্যে এই ঘাটে এত ইলিশ আসার কথা নয়। এসব মাছ নিষিদ্ধ সময়ে জেলেরা যে নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে মাছ ধরেছে সেই মাছ রাখার সময় বাসি পচা হয়ে গেছে। অবৈধ সেই মাছের এখন বিক্রয় চলছে। এতে চাঁদপুরে যে ইলিশের ব্র্যান্ডি জেলা তার বদনাম হচ্ছে। পচা ইলিশ কেটে লবণ দেয়া হচ্ছে।
এদিকে চাঁদপুরের বেশ কয়েকজন জেলে জানিয়েছেন, জাল নৌকা নিয়ে নদীতে গেলেও তেমন একটা মাছ পাওয়া যাচ্ছে না। তেলের দাম অনেক বেশি। তাই ইঞ্জিন চালিত নৌকার জন্য যে পরিমাণ তেল কিনা হয় সেই খরচই উঠে না।