29 C
Bangladesh
Sunday, May 28, 2023
spot_img

শিক্ষকরাই রূপান্তরের মূল হাতিয়ার-ডা. দীপু মনিশিক্ষামন্ত্রী

বাংলা স্টার প্রতিনিধি-শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেছেন, শিক্ষা ব্যবস্থার পরিবর্তন ও রূপান্তরের মূল হাতিয়ার হচ্ছেন শিক্ষকরাই। আমরা শিক্ষা ব্যবস্থায় ব্যাপক পরিবর্তন চাই। আর এজন্য শিক্ষকরা গুরুত্বপূর্ণ। আমরা পরিবর্তন বা সংস্কারের কথা বলছি না। এর পরিবর্তে আমরা রূপান্তরের কথা বলছি। আর এ রূপান্তরের মূল হাতিয়ার হচ্ছেন শিক্ষকরা।

শনিবার (৫ নভেম্বর) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় মার্কেটিং অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের (ডিইউএমএএ) উদ্যোগে মার্কেটিং বিভাগের শিক্ষার্থীদের বৃত্তি প্রদান অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। অনুষ্ঠানে শিক্ষকতার ৪০ বর্ষপূর্তি উপলক্ষে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক মীজানুর রহমানকে সম্মাননা প্রদান করা হয়।

শিক্ষামন্ত্রী আরও বলেন, শিক্ষককে এমন শিক্ষক হতে হবে যিনি অনুপ্রেরণা দেন, শিক্ষার্থীদের বোঝেন, যার থেকে শিক্ষার্থীরা আলোকিত পথের দিশা দেন, যাকে দেখে শিক্ষার্থীরা অনুপ্রাণিত হয় এমন শিক্ষক আমাদের সবাইকে হয়ে উঠতে হবে।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে ডা. দীপু মনি বলেন, এই বিভাগের শিক্ষার্থী হওয়াও একটা গর্বের বিষয়। এটি এমন একটি জগৎ যেই জগতটা গোটা জগতটা চালাচ্ছে। সবকিছুই মার্কেটিং মার্কেটিং প্রয়োজন হয়। আমাদের প্রধানমন্ত্রী যখন সবাইকে উদ্যোক্তা হতে হবে সেখানে অধ্যাপক মীজানুর রহমান উদ্যোক্তা হওয়ার মন্ত্র হাতে কলমে নিয়মিত শিখিয়ে যাচ্ছেন।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামাল বলেন, শিক্ষার্থীদের বৃত্তি প্রদানের মাধ্যমে পড়াশোনার জন্য উৎসাহ দেওয়া হচ্ছে। একইসঙ্গে একজন শিক্ষাগুরুকে সম্মাননা প্রদান করা হচ্ছে। মীজানুর রহমান তার কাজের মাধ্যমে একটি প্রতিষ্ঠানে পরিণত হয়েছেন।

বৃত্তিপ্রাপ্ত শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে অধ্যাপক মাকসুদ কামাল বলেন, তোমাদের অভিভাবকরা তোমাদের পাশে নেই। তোমরা এই বিশ্ববিদ্যালয়ের যেখানে ফুলের সৌরভ পাবে সেটিই তোমরা বেছে নেবে এবং তোমাদের জীবনকে মহিমান্বিত করবে।

অনুষ্ঠানে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য ও মার্কেটিং বিভাগের শিক্ষক অধ্যাপক ড. মীজানুর রহমান বলেন, আমি একজন শিক্ষক। এটা আমি পছন্দ করেই করি। আমি ছাত্রদের সঙ্গে যেমন করতাম সেটা হচ্ছে তাদের মধ্যে একটা অবিশ্বাস ঢুকিয়ে দেওয়া। অবিশ্বাস থেকে শুরু করে পরে সেটাকে পরীক্ষা করে সেটার সত্য উদঘাটন করাই হচ্ছে আসল শিক্ষা। খণ্ডিত জ্ঞান যাতে শিক্ষার্থীরা অর্জন না করেন তার জন্য আমি শিক্ষার্থীদের প্রেক্ষাপট ধরে শিখাতাম, এতে তারা একটা বিষয় সম্পর্কে পূর্ণ ধারণা পেতো।

তিনি আরও বলেন, আমি যেখানেই যাই আমি এই মার্কেটিং বিভাগেই ফিরে আসতে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করি, কারণ এটাই আমার ভিত্তি। আমি বিভাগের প্রতি, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি। সকলের দোয়াপ্রার্থী।

ডিইউএমএএ’র সহ-সভাপতি সালাউদ্দিন আহমেদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে মার্কেটিং বিভাগের বিভিন্ন শিক্ষাবর্ষের ৫২জন শিক্ষার্থীকে ‘এমজিআই-মার্কেটিং অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশন স্কলারশিপ’ প্রদান করা হয়।

Related Articles

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

Stay Connected

0FansLike
3,782FollowersFollow
20,800SubscribersSubscribe
- Advertisement -spot_img

Latest Articles