35 C
Bangladesh
Thursday, June 1, 2023
spot_img

ডিজিটাল বাংলাদেশ না হলে করোনায় থমকে যেত জীবনযাত্রা: মতিয়া

বাংলা স্টার প্রতিবেদন -আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য বেগম মতিয়া চৌধুরী বলেছেন, যদি ডিজিটাল বাংলাদেশ না করা হতো, তবে করোনায় থমকে যেত জীবনযাত্রা। মানুষ খাবার অর্ডার করে এখন অনলাইনে। 

তিনি বলেন, বাংলাদেশ যেখান থেকে উঠে আসছে তা কেউই ভাবতে পারেনি। যে হেনরি কিসিঞ্জার বাংলাদেশকে অবজ্ঞা করেছিল সেই কিসিঞ্জারই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে পুরস্কৃত করেছেন। আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স যতই বলা হোক তার পেছনে রয়েছে মানুষ। মানুষ যা চেয়েছে, মানুষ তাই পেরেছে।

চতুর্থ শিল্প বিপ্লব নিয়ে আওয়ামী লীগের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক উপকমিটির আয়োজিত দুই দিনব্যাপী আন্তর্জাতিক সম্মেলন সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। 

শনিবার সন্ধ্যায় সম্মেলনের সমাপনী অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয় রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনে। 

মতিয়া চৌধুরী আরও বলেন, এখন আর গ্রামে হালচাষ হয় না। যান্ত্রিক প্রযুক্তি ব্যবহার হচ্ছে সর্বত্র। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা একজন বাংলার ছাত্রী, কিন্তু উনি আধুনিক বিজ্ঞানমনষ্ক মানুষ। তার পেছনে এমন একজন কারিগর আছেন যে আমাদের পথ মসৃণ করেছেন। নামের সঙ্গেই জয় করছেন সব।

বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার। 

সমাপনী অনুষ্ঠানে উপকমিটির চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. মো. হোসেন মনসুরের সভাপতিত্বে স্বাগত বক্তব্য দেন আওয়ামী লীগের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার মো. আবদুস সবুর। 

এছাড়া অনুষ্ঠানে আন্তর্জাতিক সম্মেলন আয়োজক কমিটির আহ্বায়ক প্রফেসর ড. ইঞ্জিনিয়ার মুনাজ আহমেদ নূর এবং সদস্য সচিব প্রফেসর ড. ইঞ্জিনিয়ার মুহাম্মদ মাহফুজুল ইসলাম বক্তব্য দেন। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন উপকমিটির সদস্য ইঞ্জিনিয়ার মো. শাহাদাৎ হোসেন। 

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে মোস্তাফা জব্বার বলেন, আমরা চারপাশে তাকালেই দেখি সব কর্মে সূচনা করেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। ডিজিটাল বাংলাদেশের বীজ বপন করেন বঙ্গবন্ধু। বেতবুনিয়া উপগ্রহ ভূ-কেন্দ্র প্রতিষ্ঠা, টিএন্ডটি বোর্ড গঠন, আইটিইউর সদস্য পদ অর্জন, বিশ্ব ডাক সংস্থার (ইউপিইউ) সদস্য পদ অর্জন, এখন যারা লাফালাফি করেন তারা একসময় ভাবতেন সাবমেরিন ক্যাবলে যুক্ত হলে দেশের তথ্য বাইরে পাচার হয়ে যাবে। আসলে বিএনপি কোনো নতুন জিনিস গ্রহণ করতে ভয় পায়।

স্বাগত বক্তব্যে আওয়ামী লীগের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার মো. আবদুস সবুর বলেন, আওয়ামী লীগ শুধুমাত্র মাঠে মিছিল-মিটিং নিয়ে ব্যস্ত থাকে না। আওয়ামী লীগ গবেষণা ও সৃজনশীল কাজও করে থাকে। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ সব সময় দেশের উন্নয়নের কথা চিন্তা করে কাজ করে। যা বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ প্রমাণ করেছে।

সমাপনী দিনে সকাল ১০টা থেকে টেকনিক্যাল সেশন শুরু হয়। এদিন আইইবির কাউন্সিল রুমে সম্মেলনের তৃতীয় এবং সমাপনী দিনের প্রথম মূলপ্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) উপাচার্য অধ্যাপক ড. সত্য প্রসাদ মজুমদার। 

পরে ১০টি আলাদা ভেন্যুতে ৭০টি গবেষণাপত্র উপস্থাপন করা হয়। দুপুর ২টা ২০ মিনিটে চতুর্থ এবং শেষ মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন আইইইইর ইতিহাসের প্রথম বাঙালি প্রেসিডেন্ট ড. সাইফুর রহমান। 

এর আগে শুক্রবার সকালে আইইবির অডিটোরিয়ামে দুই দিনব্যাপী আন্তর্জাতিক সম্মেলনের উদ্বোধন করেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহণ ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। দুই দিনব্যাপী এই সম্মেলনে প্রায় ২৫২টি গবেষণাপত্র উত্থাপিত হয়।

Related Articles

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

Stay Connected

0FansLike
3,790FollowersFollow
20,800SubscribersSubscribe
- Advertisement -spot_img

Latest Articles