29 C
Bangladesh
Saturday, June 3, 2023
spot_img

স্বাধীনতার পরেও কেন স্বাধীনতার পক্ষ-বিপক্ষ থাকবে প্রশ্ন শিক্ষামন্ত্রীর

বাংলা স্টার বিনোদন ডেস্ক-স্বাধীনতার পরেও কেন স্বাধীনতার পক্ষ-বিপক্ষ থাকবে বলে প্রশ্ন করেছেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি। তিনি বলেছেন, বিরোধী দলের একটি অংশ স্বাধীনতার বিপক্ষের শক্তি। তাদের অনেকেই এখনো স্বাধীনতাকে গণ্ডগোল বলেন। সে দলের অনেক শীর্ষ নেতার পরিবার ও তাদের পূর্বপুরুষরা রাজাকার ছিলেন।

বুধবার (৯ ডিসেম্বর) দুপুর ১২টায় জাতীয় জাদুঘরে কবি সুফিয়া কামাল অডিটরিয়ামে বাংলাদেশ স্বাধীনতা ফাউন্ডেশনের ‘৭১-এ গণহত্যার জাতিসংঘের স্বীকৃতি চাই’ শীর্ষক আলোচনাসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

দীপু মনি বলেন, এ দেশে দীর্ঘদিন ক্ষমতায় থেকেছেন, তারা বলেন রাজনীতি করেন। রাজনীতি দেশ ও মানুষ সেবার কাজ। মুখে রাজনীতি বললেও এ দেশের শহীদের সংখ্যা নিয়ে প্রশ্ন তুলে ঔদ্ধত্য দেখান।

স্বাধীনতার বিপরীত শক্তি মানবাধিকার লঙ্ঘনকারীদের সঙ্গে নিয়ে ক্ষমতায় এসেছেন উল্লেখ করে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, শহীদের রক্তে অর্জিত পতাকা তাদের গাড়িতে তুলে দেন যারা, কেন তারা এ দেশের রাজনীতিতে থাকবেন? স্বাধীনতার পরেও কেন স্বাধীনতার পক্ষ-বিপক্ষ থাকবে? সব দলকেই স্বাধীনতার পক্ষে থাকতে হবে।

গণহত্যার স্বীকৃতির দাবি জানিয়ে তিনি বলেন, পৃথিবীতে যত গণহত্যার সংজ্ঞা রয়েছে, তার সবগুলোই বাংলাদেশের গণহত্যার সঙ্গে মিলে যায়। ফলে এটি নিয়ে দ্বিমত করার কোনো জায়গা নেই। বাংলাদেশে এত অল্প সময়ের যুদ্ধে যত প্রাণ দিতে হয়েছে, পৃথিবীর কোথাও এত প্রাণ দিতে হয়নি। বিভিন্ন দেশের জাদুঘরগুলোতে এ বিষয়ে অনেক তথ্য আছে, আবার ভুল তথ্যও আছে।

গণহত্যার ইতিহাস বিশ্বকে জানানো দরকার উল্লেখ করে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, আমাদের অর্জন কত ত্যাগের বিনিময়ে শুধু তা জানাতে নয়, বরং বিশ্বের ইতিহাসে এমন ঘটনার যেন পুনরাবৃত্তি না ঘটে সে কারণে জানাতে হবে।

ডা. দীপু মনি দাবি জানিয়ে বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুর ভাষণ যতবার বাজানো হয়েছে, এর জন্য যত প্রাণ দিতে হয়েছে, পৃথিবীর অন্য কোনো ভাষণ এতবার বাজানো হয়নি, আবার এত প্রাণও দিতে হয়নি। সেই ভাষণ, বঙ্গবন্ধু ও জয় বাংলা নিষিদ্ধ করা হয়েছিল। এ ছাড়াও দেশকে নব্য পাকিস্তান বানানোর চেষ্টা হয়েছিল। সেই অপশক্তি এখনো সক্রিয়, তারা আরো একটি ৭৫-এর মতো ঘটনা ঘটাতে চায়। ’

মন্ত্রী বলেন, পাকিস্তানের কাছে দাবি জানানো হয়েছে, বাংলাদেশের কাছে আনুষ্ঠানিকভাবে ক্ষমা চাইতে হবে, যুদ্ধের ক্ষতিপূরণ দিতে হবে এবং আটকে পড়া পাকিস্তানি নাগরিকদের নিয়ে যেতে। তবে এখন সকলেই দেশের নাগরিকত্ব নিয়ে নিয়েছে। আজকের দিনে কে আর বাংলাদেশ ছেড়ে যেতে চাইবে? সে দেশের লোকেরা সারাক্ষণ বলতে থাকে আমাদের বাংলাদেশ বানিয়ে দাও।

সংগঠনের আহ্বায়ক বিচারপতি মোহাম্মদ মমতাজ উদ্দীন আহমেদ বলেন, ১৯৫২, ১৯৫৪ এবং ১৯৬৪ সালসহ বারবার হত্যাকাণ্ড চালিয়েছে পাকিস্তান। তারা বঙ্গবন্ধুকেও হত্যা করতে চেয়েছিল।

তিনি আরো বলেন, আমরা বিয়ের আগের রাতে দুই থেকে আড়াই হাজার মুরগি জবাই করি। তার বিভিন্ন অংশ ছড়িয়ে থাকে। ১৬ আগস্ট তারা মানুষদের এভাবে মেরেছে। অনেকের নাক ছিল না, কারো মুখ ছিল না।-খবর কালের কন্ঠ অনলাইন।

Related Articles

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

Stay Connected

0FansLike
3,795FollowersFollow
20,800SubscribersSubscribe
- Advertisement -spot_img

Latest Articles