
বাংলা স্টার অনলাইন-যুবলীগের সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আয়োজিত সমাবেশে মানুষের ঢল নেমেছে। সমাবেশে যোগ দিতে শুক্রবার সকাল থেকেই রাজধানীর বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসা আওয়ামী লীগ ও এর সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা উদ্যানে জড়ো হতে শুরু করেন। উদ্যানের প্রায় সব গেটেই দেখা যায় দীর্ঘ লাইন। এছাড়া ঢাকার আশপাশের জেলাগুলো থেকেও ট্রাকে-বাসে করে জনসভায় লোকজন আসতে দেখা গেছে। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বাড়তে থাকে মানুষের ঢল।
এদিকে সমাবেশে লোকজনের আসার সুবিধার্থে বেলা ১১টা থেকে শাহবাগের রূপসী বাংলা সিগন্যাল, কাঁটাবন মার্কেট মোড়, নীলক্ষেত, চানখাঁরপুল, জিপিও ও মৎস্যভবন মোড় থেকে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানমুখী সব রাস্তায় যান চলাচল বন্ধ করে দেয় পুলিশ। বেলা সাড়ে ১১টার দিকেই পঞ্চাশ হাজারের বেশি মানুষের পদচারণায় ভরে ওঠেছে সোহরাওয়ার্দী উদ্যান। যুবলীগ নেতারা বলছেন, এই সমবেশ হবে দেশের ইতিহাসে স্মরণকালের সবচেয়ে বড় যুব সমাবেশ।
দুপুর আড়াইটায় শুরু হবে মূল কর্মসূচি। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা। দীর্ঘ দিন পর কোনো সমাবেশে শেখ হাসিনার উপস্থিতি ঘিরে নেয়া হয়েছে নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা। নেতাকর্মীদের মধ্যে দেখা দিয়েছে ব্যাপক উৎসাহ উদ্দীপনা। সমাবেশ ও আশপাশের এলাকা ছেয়ে গেছে পোস্টার-ব্যানার-ফেস্টুনে। সমাবেশের মঞ্চ তৈরি করা হচ্ছে সেতুর আদলেই।
যাত্রাবাড়ী থেকে সমাবেশে আসা আরিফ বলেন, আমি ১৯৯২ সালে জনতার আদালতে এসেছিলাম। সেদিনও লাখো জনতার উপস্থিতি ছিল। তবে আমার ধারণা আজ সেদিনের থেকেও বেশি মানুষের সমাগম ঘটেছে। আমার জীবনে কোনো সমাবেশে এত মানুষের উপস্থিতি দেখিনি।
মিরপুর থেকে আসা মো. জামাল শেখ বলেন, জীবনে অনেক সমাবেশ দেখেছি। কিন্তু মানুষের এমন স্রোত আগে কখনো দেখিনি। মনে হচ্ছে আজ সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের কোথাও তিলধারণের জায়গায় থাকবে না।
ইমরান হোসেন নামের এক যুবক বলেন, সোহারওয়ার্দী উদ্যানে অনেক রাজনৈতিক সমাবেশ দেখেছি। কোনো সমাবেশেই এত মানুষের সমাগম দেখিনি। পানির স্রোতের মতো মানুষ আসছে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী মোতাহার হোসেন বলেন, সমাবেশে এত মানুষ হবে আমার ধারণায় ছিল না। কী পরিমাণ মানুষের সমাগম হচ্ছে তা বর্ণনা করা কঠিন। নিজ চোখে না দেখলে বিশ্বাসই হতো না কোনো সভায় এত মানুষ উপস্থিত হয়।