
প্রতিবছর পৃথিবীতে ৩৯০ মিলিয়ন ডেঙ্গু ভাইরাস সংক্রমিত হয়ে থাকে যার মধ্যে ৯৬ মিলিয়ন ক্লিনিক্যালি তীব্রতাসহ প্রকাশ পায়। তবে
পৃথিবীর ১২৯টি দেশে ডেঙ্গু সংক্রমণের ঝুঁকি থাকলেও এর ৭০ শতাংশ এশিয়ায়। বাংলাদেশে ২০০০ সালের পর থেকে প্রতিবছরই কমবেশি ডেঙ্গু হয়েছে, তবে এ বছর আক্রান্ত ও মৃত্যু সংখ্যা আশঙ্কাজনক পর্যায়ে পৌঁছে যাচ্ছে। অক্টোবর-নভেম্বরে এসেও আক্রান্ত ও মৃত্যু সংখ্যা বেড়েই চলেছে।
ডেঙ্গু হলো একটি মশাবাহিত ভাইরাল রোগ, যা সাম্প্রতিক বছরগুলোতে দ্রুত ছড়িয়ে পড়েছে। ডেঙ্গু ভাইরাস প্রধানত এডিস ইজিপ্টাই প্রজাতির স্ত্রী মশা দ্বারা সংক্রমিত হয় এবং কিছু ক্ষেত্রে অল্পমাত্রায় এডিস অ্যালবোপিকটাসের মাধ্যমেও ছড়াতে পারে। এই প্রজাতির মশা চিকুনগুনিয়া, ইয়েলো ফিভার এবং জিকা ভাইরাসেরও বাহক।
পৃথিবীব্যাপী মশা নিয়ন্ত্রণই ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণের একমাত্র উপায়। তবে কোনোভাবেই যেন মশার সঙ্গে পেরে উঠছে না মানুষ। তাই পৃথিবীর বড় বড় গবেষণা সংস্থা নজর দিয়েছে ডেঙ্গু ভ্যাকসিন তৈরিতে।
ডেঙ্গুর বিরুদ্ধে একটি কার্যকর ভ্যাকসিন তৈরি করা চ্যালেঞ্জিং এই কারণে যে ডেঙ্গু ভাইরাসের চারটি সেরোটাইপ রয়েছে এবং চারটি সেরোটাইপই ডেঙ্গু রোগ সৃষ্টি করতে পারে। এত সীমাবদ্ধতা থাকা সত্ত্বেও বেশ কয়েকটি প্রতিষ্ঠান এরই মধ্যে ডেঙ্গু ভ্যাকসিন তৈরিতে সফল হয়েছে এবং কয়েকটি ডেঙ্গু ভ্যাকসিনের ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে শুরু হয়েছে। সরকার্ এ বিষয়ে বেশি নজর দেয়া দরকার।