
স্টাফ রিপোর্টার-প্রকৃতির ক্ষতি করে কোনো প্রকল্প গ্রহণ না করতে সতর্ক করে দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। হাওড় ও উপকূলীয় অঞ্চলে যে কোনো প্রকল্প বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে প্রকৃতির দিকে বিশেষ খেয়াল রাখতে নির্দেশনা দিয়েছেন সরকারপ্রধান। একই সময় শুধু উৎপাদন না বাড়িয়ে ফসলের পুষ্টিগুণ অক্ষুণœ রাখারও নির্দেশনা দেন তিনি।
মঙ্গলবার চলতি অর্থবছরের সপ্তম জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভা শেষে এসব নির্দেশনা দেন প্রধানমন্ত্রী। বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন প্রধানমন্ত্রী ও একনেক চেয়ারপারসন শেখ হাসিনা। একনেক পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী এসব নির্দেশনা তুলে ধরেন পরিকল্পনা মন্ত্রী এমএ মান্নান এমপি।
একনেক সভায় প্রকল্পের মেয়াদ বারবার না বাড়ানোর নির্দেশনা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি সময় বাড়ানো পছন্দ করেন না বলেও জানান পরিকল্পনা মন্ত্রী। মন্ত্রী বলেন, হাওড়ের প্রকৃতি খুবই নাজুক। তা ছাড়া উপকূলের প্রকৃতিও অসম্ভব সংবেদনশীল (সেনসেটিভ)। এগুলোর সঙ্গে বৈরী আচরণ না করতে সাবধান করে দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।
ফসলের শুধু সুগন্ধি না বাড়িয়ে পুষ্টিগুণ নিশ্চিত করতে নির্দেশনা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। ফসলের গুদামজাত ও সংরক্ষণে উন্নত প্রযুক্তি ব্যবহারের কথা বলেছেন প্রধানমন্ত্রী। এ সময় উদাহরণ হিসেবে ডাচ প্রযুক্তি ব্যবহারের বিষয়ে আলোচনা করা হয়। কৃষির বহুমুখিতা আনতে কৃষিমন্ত্রীকে যে কোনো দেশ থেকে প্রযুক্তি আনতে বলেছেন সরকারপ্রধান। এ সময় খালের একটি প্রকল্পের আলোচনায় খাল বন্ধ না করতে আবারো গুরুত্বারোপ করেছেন শেখ হাসিনা।
একটি প্রকল্পের জমি অধিগ্রহণের আলোচনা করতে গিয়ে কম পরিমাণ জমি অধিগ্রহণ করতে বলেছেন প্রধানমন্ত্রী। ফসলের জমি যাতে নষ্ট না হয় সেজন্য তিনি এমন নির্দেশনা দিয়েছেন বলে জানিয়েছেন পরিকল্পনা মন্ত্রী।
উল্লেখ্য, সভার শুরুতেই প্রধানমন্ত্রীর সামনে দেশের সার্বিক অর্থনৈতিক পরিস্থিতি তুলে ধরা হয়। সেখানে মূল্যস্ফীতির সূচক নিম্নমুখী বলে জানানো হয়। তা ছাড়া রেমিট্যান্স ইতিবাচক ধারায় ফিরছে বলে জানানো হয়।