
বাংলা স্টার রিপোট-এক ইঞ্চি জমিও যেন অনাবাদি না থাকে” মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর এই নির্দেশনা বাস্তবায়নের লক্ষ্যে কচুয়ায় কৃষক সমাবেশ ও বিনামূল্যে সার-বীজ বিতরণ করা হয়েছে। এ উপলক্ষ্যে বুধবার সকালে কচুয়া উপজেলা প্রশাসন ও কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের আয়োজনে পরিষদ মিলনায়তনে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. নাজমুল হাসানের সভাপতিত্বে ও উপজেলা যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা মোহাম্মদ মাহবুব-উল-আলম এর সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন- চাঁদপুরের জেলা প্রশাসক কামরুল হাসান।
এসময় তিনি বলেন, সরকার কৃষি খাতে ভর্তুকি দেওয়ায় কৃষকরা কৃষিকাজে উদ্বুদ্ধ হয়েছে বলে দেশ আজ খাদ্য স্বয়ংসম্পূর্ণ। এক ইঞ্চি জমিও যেন অনাবাদি না থাকে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর এই নির্দেশনা বাস্তবায়নের দেশের মানুষের পুষ্টির চাহিদা মিটাতে বসতবাড়ির আঙ্গিনা ও পতিত আবাদ জমিতে চাষাবাদ করতে হবে। তাহলে আমাদের খাদ্যের চাহিদা মেটাতে পরিপূর্ণ ভাবে সক্ষম হবো।
তিনি আরো বলেন, সুস্থ হয়ে বেড়ে উঠার লক্ষ্যে আপনাদের সন্তানদের পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে। কাচ্চি বিরানি খেতে না দিয়ে দেশীয় শাকসবজি ও ফলমূল খেতে দিবেন। এতে করে আপনার সন্তানের পুষ্টির চাহিদা পূরন হবে। গড়ে উঠবে আপনাদের সন্তান মেধাবী হিসেবে। সকল রোগের জন্য ঔষধ সেবন করবেন না। কিছু কিছু রোগ আছে, খাওয়া-দাওয়ায় একটু সচেতন হলে ওইসব রোগ হবে না। কেবল প্রেসক্রিপশান নিয়ে আরোগ্য লাভের উদ্দেশ্যে চিকিৎসকের নিকট থেকে প্রেসক্রিপশান নেয়া ছাড়াও তাদের কাছ থেকে পরামর্শ নিবেন, কোন কোন খাবার খেলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়। পুষ্টিকর খাবার পাওয়ার লক্ষ্যে আপনার বাড়ির আঙ্গিনার পতিত জমিতে শাকসবজি-ফল ফলাদির চাষ করবেন। একটু জমিও অনাবাদি রাখা যাবে না।
অনুষ্ঠানের শুরুতে স্বাগত বক্তব্য রাখেন- উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মো. সোফায়েল হোসেন। বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন-কচুয়া উপজেলা পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান সুলতানা খানম, বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল মবিন, জাবের মিয়া, আনোয়ার সিকদার, কচুয়া প্রেসক্লাবের সভাপতি আলমগীর তালুকদার, উপজেলা সার এসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক প্রিয়তুষ পোদ্দার। কৃষকদের মাঝে বক্তব্য রাখেন- বীর মুক্তিযোদ্ধা আনোয়ার হোসেন শিকদার ও আফাজউদ্দিন মানিক।
আলোচনা সভা শেষে অতিথিবৃন্দ উপজেলার ১২টি ইউনিয়ন ও ১টি পৌরসভার সর্বমোট ৪ হাজার ৭শ ৩০ জন কৃষকের মাঝে বিনামূল্যে গম, ভুট্টা, সরিষা, সূর্যমূখী, চিনা বাদাম, সয়াবিন, শীতকালীন পেঁয়াজ, মুগ, খেসারির বীজ, হাইব্রীড ধান, বোরো (উফশী) ধান ও ৬০ মেট্টিকটন ৪শ ৫০ কেজি সার বিতরণ করেন।