
বাংলা স্টার রিপোট-চাঁদপুরের তৃণমূলের নেতা-কর্মীরা মোঃ আলমগীর হায়দার ভূঁইয়াকে চাঁদপুর পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হিসাবে দেখতে চায়।
চাঁদপুর পৌর আওয়ামী লীগের সদস্য ও আওয়ামী লীগের সম্মেলনে সাধারণ সম্পাদক পদপ্রার্থী হয়েছেন তৃণমূলের নেতা-কর্মীদের অনুরুধে
সাবেক ছাত্র লীগের নেতা মোঃ আলমগীর হায়দার ভূঁইয়া তিনি বলেন, ছাত্রজীবন থেকে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শকে লালন করে এই দলের রাজনীতি করে আসছি।
ছাত্রলীগের রাজনীতি করার সময় বিভিন্ন ইউনিটের বিভিন্ন দায়িত্ব পালন শেষে দু মেয়াদে পৌর আওয়ামী লীগের সদস্য পদে দায়িত্ব পালন করছি। দীর্ঘদিন রাজনীতি করার কারণে তৃণমূলের নেতা-কর্মীদের সাথে আমার সুসম্পর্ক রয়েছে। তাই তৃণমূলের নেতা-কর্মীদের অনুরোধে আমি আসন্ন চাঁদপুর পৌর আওয়ামী লীগের সম্মেলনে সাধারণ সম্পাদক পদে প্রার্থী হয়েছি।
মোঃ আলমগীর হায়দার ভূঁইয়া উপরোক্ত কথাগুলো বলেন।
আগামী ১১ ডিসেম্বর চাঁদপুর জেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলন এবং তার পূর্বে বিভিন্ন উপজেলা ও পৌর ইউনিটের সম্মেলন। এ সম্মেলন আরো আগে হওয়ার দরকার ছিলো। কারণ সম্মেলনের মধ্য দিয়ে নতুন নেতৃত্ব সৃষ্টি হয়। আর এতে করে সংগঠন গতিশীল হয়, নেতা-কর্মীরা উজ্জীবিত হয়। যা হোক সম্মেলন হচ্ছে, এই সম্মেলনের সফলতা কামনা করছি। সম্মেলনকে কেন্দ্র করে শহরজুড়ে যে উচ্ছ্বাস সৃষ্টি হয়েছে, তা যেনো সুন্দরভাবে শেষ হয়-এই কামনা।
আলমগীর হায়দার ভূঁইয়া বলেন সম্মেলন হবে, নতুন নেতৃত্ব আসবে-এটা সকলের প্রত্যাশা। আমার সেই প্রত্যাশার পাশাপাশি একজন সাবেক ছাত্রনেতা হিসেবে বলতে চাই, এই সম্মেলনে যেনো সাবেক ছাত্রনেতাদের মূল্যায়ন করা হয়। কারণ একমাত্র ছাত্রলীগের মেয়াদ শেষে সঠিক সময়ে নতুন নেতৃত্ব তৈরি করা হয়। সে অনুযায়ী ছাত্রলীগের সাবেক অনেক নেতা রয়েছেন। তাই একজন সাবেক ছাত্রনেতা হিসেবে ছাত্রলীগের সাবেক নেতাদের মূল্যায়নের দাবি করছি। আরেকটি কথা বলতে চাই, জেলা আওয়ামী লীগের মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ইউনিট হচ্ছে চাঁদপুর পৌর আওয়ামী লীগ। অতএব, এই ইউনিটের নেতৃত্বে যেনো যোগ্য, মেধাবী ও অভিজ্ঞ ব্যক্তি এবং তৃণমূলের নেতা-কর্মীদের চাহিদাকে প্রাধান্য দেয়া হয়।
ছাত্রজীবন থেকে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শকে লালন করে এই দলের রাজনীতি করছি। ছাত্রলীগের রাজনীতি করার সময় বিভিন্ন ইউনিটের বিভিন্ন দায়িত্ব পালন শেষে দু মেয়াদে পৌর আওয়ামী লীগের সদস্য পদে দায়িত্ব পালন করছি। দীর্ঘ রাজনীতি করার কারণে তৃণমূলের নেতা-কর্মীদের সাথে আমার সুসম্পর্ক রয়েছে। তাই তৃণমূলের নেতা-কর্মীদের অনুরোধে আমি আসন্ন চাঁদপুর পৌর আওয়ামী লীগের সম্মেলনে সাধারণ সম্পাদক পদে প্রার্থী হয়েছি। তিনি আরো ও বলেন আলমগীর হায়দার ভূঁইয়া দলের শীর্ষ ও জেলার শীর্ষ নেতৃবৃন্দের নিকট আমার আকুল আবেদন, ছাত্রজীবন থেকে ছাত্রলীগের মাধ্যমে আওয়ামী লীগের রাজনীতি করে আসছি। আমাকে চাঁদপুর পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক পদে দায়িত্ব দিলে ইনশাআল্লাহ আমি চাঁদপুর পৌর আওয়ামী লীগকে আরো শক্তিশালী রাজনৈতিক সংগঠনে রূপান্তরিত করবো, ইনশাআল্লাহ। আমাদের নেত্রী বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক, চাঁদপুর-হাইমচর আসনের তিন তিনবারের নির্বাচিত সংসদ সদস্য শিক্ষামন্ত্রী ডাঃ দীপু মনি চাঁদপুরে ব্যাপক উন্নয়ন করেছেন। এই চাঁদপুরের মাটি ডাঃ দীপু মনি এমপির ঘাঁটি। চাঁদপুরের মাটি নৌকা মার্কার ঘাঁটি-এটি শতভাগ নিশ্চিত করতে কাজ করবো, ইনশাআল্লাহ।
উল্লেখ্য, মোঃ আলমগীর হায়দার ভূঁইয়া ছাত্রজীবন থেকেই জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শকে লালন করে ছাত্রলীগের রাজনীতি করেন। তিনি চাঁদপুর শহরের আহম্মদিয়া মাদ্রাসায় পড়াবস্থায় ছাত্রলীগের উক্ত মাদ্রাসার সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন। তিনি ১৯৯২ সালে চাঁদপুর পৌর ছাত্রলীগের সদস্য, ১৯৯৪ সালে চাঁদপুর সরকারি কলেজে পড়াবস্থায় ছাত্রলীগের প্যানেল থেকে ছাত্রসংসদ নির্বাচনে ক্রীড়া সম্পাদক পদে নির্বাচন করেন। তিনি ১৯৯৭ সালে চাঁদপুর সদর উপজেলা ছাত্রলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ২০০০ সালে জেলা ছাত্রলীগের পাঠাগার সম্পাদক নির্বাচিত হয়ে ছাত্ররাজনীতি থেকে বিদায় নিয়ে ২০০৩ সাল থেকে অদ্যাবধি চাঁদপুর পৌর আওয়ামী লীগের সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছেন। এছাড়াও তিনি বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশন চাঁদপুর সদর উপজেলা শাখার সভাপতি। তিনি চাঁদপুর বাইতুল নুর জামে মসজিদের সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছেন।
দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি, জ্বালানি তেলের অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধি, বিদ্যুৎ-গ্যাস সঙ্কট, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবিসহ আরো কিছু কারণে বিএনপির যে ধারাবাহিক আন্দোলন, তাতে আপনারা কতোটুকু উদ্বিগ্ন?
আলমগীর হায়দার ভূঁইয়া.আমরা বিএনপির আন্দোলন বা রাজনীতি নিয়ে চিন্তা বা উদ্বিগ্ন কোনোটাই নই। কারণ যে দলটি দেশ পরিচালনাকালে বিশ্বে দেশের সম্মানহানি করে দুর্নীতিবাজ হিসেবে সারা বিশ্বে বাংলাদেশকে চ্যাম্পিয়ন করেছে। যারা দেশে জঙ্গিবাদ, মৌলবাদ, সন্ত্রাসী রাজনীতি সৃষ্টি করেছে, এদের আন্দোলন নিয়ে মাথা ঘামানোর সময় আমাদের নেই। কারণ বিএনপির রাজনীতি হচ্ছে ধোঁকাবাজির রাজনীতি। এদের সাথে এদেশের জনগণ নেই। জনগণ এখন সচেতন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ এদেশের মাটি ও মানুষের রাজনীতি করে। দেশের জনগণের স্বার্থ আওয়ামী লীগ প্রাধান্য দেয়। তাই এদেশের জনগণকে সাথে নিয়ে আওয়ামী লীগ খুব শীঘ্রই রাজপথে রাজনৈতিক কর্মসূচি নিয়ে বিএনপির আন্দোলনকে মোকাবিলা করবে।
অর্থনৈতিক সঙ্কট, সম্ভাব্য বৈশ্বিক মন্দা তথা নানা চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করে আওয়ামী লীগ স্বীয় জনপ্রিয়তা প্রমাণ করে আসন্ন সংসদ নির্বাচনে সংখ্যাগরিষ্ঠ আসনে জয়ী হয়ে টানা চতুর্থবারের মতো সরকার গঠন করতে পারবে?
আলমগীর হায়দার ভূঁইয়া : জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সোনার বাংলা গড়ার প্রত্যয়ে তাঁর কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এদেশকে উন্নয়নের ক্ষেত্রে যেভাবে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে, আমার আস্থা ও বিশ্বাস, এদেশের জনগণ পুনরায় বাংলাদেশ আওয়ামী লীগকে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় আসীন করবে। আওয়ামী লীগ টানা চতুর্থবার রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্ব পাবে, ইনশাআল্লাহ।