35 C
Bangladesh
Thursday, June 1, 2023
spot_img

সেই আয়াতের বিচ্ছিন্ন মাথা পাওয়া গেল স্লুইসগেটে

বাংলা স্টার নিজস্ব প্রতিবেদক-অপহরণের পর কেটে ছয় টুকরো করে সাগরে ভাসিয়ে দেওয়া শিশু আলীনা ইসলাম আয়াতের শরীর থেকে বিচ্ছিন্ন মাথা পাওয়া গেছে বলে জানিয়েছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। এ নিয়ে দুই পায়ের পর মাথাসহ শরীরের তিনটি খণ্ডিত অংশ উদ্ধার করা হলো।

আজ বৃহস্পতিবার সকাল ১০টার দিকে নগরীর ইপিজেড থানার আকমল আলী রোডের শেষ প্রান্তে নালা সংলগ্ন স্লুইসগেট এলাকা থেকে মাথাটি উদ্ধার করা হয়।

জানা গেছে, বৃহস্পতিবার সকালে স্লুইসগেটে আটকে থাকা পানির মধ্যে জমা পলিথিনে তল্লাশি করে মাথাটি পাওয়া যায়। আবির আলী যেভাবে বর্ণনা দিয়েছিলেন সেভাবেই ‘টেপ মোড়ানো পলিথিনের ভেতরে মাথাটি পাওয়া গেছে। খবর পেয়ে ইতোমধ্যে ঘটনাস্থলে যাচ্ছেন আয়াতের স্বজনরা।

এর আগে বুধবার একই এলাকা থেকে আয়াতের পলিথিন মোড়ানো দুই পা উদ্ধার করা হয়েছিল। পরে তার বাবা-দাদাসহ স্বজনরা গিয়ে সেগুলো শনাক্ত করেন।

পিবিআই চট্টগ্রাম মেট্রো ইউনিটের পুলিশ সুপার নাইমা সুলতানা গতকাল জানান, সিটি করপোরেশন, সিডিএ, পানি উন্নয়ন বোর্ডের সহযোগিতায় স্লুইসগেটের চারটি প্রকোষ্ঠের পানিপ্রবাহ বন্ধ করে দেওয়ার পর একটি প্রকোষ্ঠে আটকে যাওয়া পলিথিনে পা দুটি পাওয়া যায়, যেগুলো আবিরের বর্ণনামতো পলিথিনের ভেতর টেপ দিয়ে মোড়ানো ছিল।

উল্লেখ্য, গত ১৫ নভেম্বর নগরের ইপিজেড থানার বন্দরটিলা নয়ারহাট এলাকায় বাসার সামনে থেকে নিখোঁজ হয় আলীনা ইসলাম আয়াত। এ ঘটনায় ২৪ নভেম্বর রাতে তাদের ভাড়াটিয়া আজহারুল ইসলামের ১৯ বছর বয়সী ছেলে আবীর আলীকে গ্রেপ্তার করে পিবিআই। জিজ্ঞাসাবাদে সে আয়াতকে শ্বাসরোধে হত্যার পর ছয় টুকরো করে সাগরে ভাসিয়ে দেওয়ার কথা স্বীকার করে। তার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে পরদিন লাশ টুকরোর কাজে ব্যবহৃত দা ও আয়াতের পায়ের জুতা উদ্ধার করা হয়।

পিবিআইয়ের ভাষ্যমতে, মুক্তিপণ আদায়ের জন্য আয়াতকে অপহরণের পরিকল্পনা করে আবীর। ১৫ নভেম্বর বিকেলে বাসার সামনে থেকে আয়াতকে কোলে নিয়ে আদর করতে করতে আবীর ঢুকে যায় তার বাবার বাসায়। সেখানে ১৫ মিনিটের মধ্যে শ্বাসরোধ করে সে আয়াতকে খুন করে। এর পর লাশ ব্যাগে ভরে নিয়ে যায় নগরের আকমল আলী সড়কের পকেট গেট বাজার এলাকায় তার মা আলো বেগমের বাসায়। মা-বাবার মধ্যে বিচ্ছেদের পর আবীর মায়ের বাসায় থাকত। বাবার বাসায়ও তার যাতায়াত ছিল। আবীর মায়ের বাসায় নিয়ে লাশ বাথরুমের সানশেডের ওপর লুকিয়ে রাখে। রাতেই ওই লাশ বাথরুমে নিয়ে কেটে ছয় টুকরো করে ছয়টি ব্যাগে ভরে রাখে।

পরদিন ১৬ নভেম্বর সকালে লাশের তিনটি টুকরো আউটার রিং রোড এলাকায় সাগরে ভাসিয়ে দেয়। ওই দিন রাতে বাকি তিন টুকরো আকমল আলী রোডের স্লুইসগেট এলাকায় ফেলে দেয়। কিন্তু মুক্তিপণ আদায়ের জন্য সংগ্রহ করা সিম ব্লক থাকায় পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করতে পারেনি আবীর।

১৫ নভেম্বর বিকেলে আরবি পড়তে স্থানীয় মসজিদের উদ্দেশে বাসা থেকে বের হলে আয়াতকে বাসার গলিতেই কোলে নেয় আবীর। অন্য শিশুরা এটা দেখেছিল। আশপাশের বিভিন্ন সিসি ক্যামেরার ভিডিও বিশ্নেষণ এবং স্থানীয় শিশুদের সঙ্গে কথা বলে আবীরকে আটক করা হয়। হত্যার

Related Articles

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

Stay Connected

0FansLike
3,790FollowersFollow
20,800SubscribersSubscribe
- Advertisement -spot_img

Latest Articles