
বাংলা স্টার রিপোট-কচুয়ায় মুক্তি যোদ্ধাদের মাঝে ডিজিটাল সনদ ও স্মার্ট কার্ড বিতরণ করা হয়েছে।শনিবার (০৩ ডিসেম্বর) সকালে উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ড.মহীউদ্দীন খান আলমগীর এমপি প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে ২৮৬জন মুক্তি যোদ্ধার মাঝে এ সনদ ও স্মার্ট কার্ড বিতরন করেন।
এ সময় তিনি বলেন-বঙ্গবন্ধু কর্তৃক সৃজিত বাংলাদেশে রাজাকের স্থান নেই। সে দিন যদি আমরা বঙ্গবন্ধুর আহবানে সাড়া না দিতাম তাহলে আজ আমরা বিশ্বের মাঝে মাথা উচু করে দাঁড়াতে পারতাম না। মুক্তিযুদ্ধের জয় বাঙ্গালীদের মর্যাদা এনে দিয়েছে। এ মর্যাদার ভিত্তি বঙ্গবন্ধু সেই দিন আমাদেরকে দিয়ে ছিলেন। আমি ভারতীয় আর্কাইভ ও বিভিন্ন লাইব্রেরীতে দেখেছি জিয়া উর রহমান কেবলা হয় ১১নং সেক্টর কমান্ডার। তিনি কোথায় সম্মুখ যুদ্ধে অংশ গ্রহণ করেছেন এমন কোন দলিল আমি খুঁজে পাইনি।
তিনি আরো বলেন, বঙ্গবন্ধুর কন্যা মুক্তি যোদ্ধাদের প্রেরণাদাতা। তিনি মুক্তি যুদ্ধকালীন তাঁর পিতার পাশে থেকে প্রেরনা দিয়ে গেছেন। শেখ হাসিনা মুক্তি যোদ্ধাদের সর্বাঙ্গীন মঙ্গল কামনা করে তাদের মর্যাদা নিশ্চিয়তা প্রদানের লক্ষ্যে তাদের জন্য যাচ্ছেন। স্বাধীন বাংলাদেশে আজ আমরা উপভোগ করছি তার সব কিছুই করেছেন বঙ্গবন্ধুর কন্যা শেখ হাসিনা। যা পূর্ববতী কোন সরকার প্রধান জিয়া উর রহমান, এরশাদ কিংবা খালেদা জিয়া করে যেতে পারেনি। বঙ্গবন্ধু এ দেশ সৃষ্টি করে উন্নয়নের পথে অগ্রসর হওয়ার যে ভিত্তি আমাদেরকে দেখিয়েছেন তা সব সময় স্মরণ রেখে আমরা এগিয়ে যাবো।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো.নাজমুল হাসানের সভাপতিত্বে ও উপজেলা যুব উন্নয়নের কর্মকর্তা মাহবুব-উল-আলমের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন, উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান শাহজাহান শিশির, প্যানেল চেয়ারম্যান সুলতানা খানম,উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি আইয়ুব আলী পাটওয়ারী ও সাধারণ সম্পাদক সোহরাব হোসেন চৌধুরী সোহাগ,চাঁদপুর জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদেও সাবেক সহ-সভাপতি ইয়াকুব আলী মাস্টার, বীর মুক্তিযোদ্ধা কর্নেল (অব:) মো.ফজলুল হক,যুদ্ধকালীন কমান্ডার আব্দুর রশিদ পাঠান, উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদেও সাবেক কমান্ডার আব্দুল মবিন, ডেপুটি কমান্ডার জাবের মিয়া,কচুয়া প্রেসক্লাবের সভাপতি আলমগীর তালুকদার প্রমুখ। এসময় বীর মুক্তিযোদ্ধা,উপজেলা বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তা ও আওয়ামীলীগ সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মী’রা উপস্থিত ছিলেন।