29 C
Bangladesh
Saturday, September 30, 2023
spot_img

৭০ বছর বয়সে জমজ সন্তানের বাবা, মায়ের বয়স ৫৪

বাংলা কলকাতা-রেল দুর্ঘটনায় প্রায় সাড়ে ৩ বছর আগে একমাত্র ছেলে অনিন্দ্যকে হারিয়েছিলেন ভারতের উত্তর চব্বিশ পরগণার অশোকনগর কাকপুল নয়া সমাজের দত্ত দম্পতি। সন্তানকে হারিয়ে মানসিকভাবে ভেঙে পড়েন তপন দত্ত ও রুমা দত্ত। এই দম্পতির ঘর আলোকিত করে জন্ম নিয়েছে জমজ শিশু। এখন দত্ত বাড়িতে খুশির জোয়ার, সন্তান নিয়ে হাসপাতাল থেকে বাড়িতে প্রবেশের সময় ফুলের পাপড়ি ছিটিয়ে স্বাগত জানিয়েছে পরিবার ও প্রতিবেশীরা।

জানা গেছে, ২০১৯ সালের জুলাই মাসে এক ট্রেন দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয়েছিল একমাত্র ছেলে অনিন্দ দত্তর। তারপরেই দিশেহারা হয়ে পড়েন পশ্চিমবঙ্গের উত্তর ২৪ পরগনা জেলার অশোকনগরের দত্ত দম্পতি। একাকীত্ব ও মানসিক কষ্ট তাদের কুড়ে কুড়ে খেতে থাকে। আর তখনই ৭০ বছর বয়সী তপন দত্ত ও তার ৫৪ বছর বয়সী স্ত্রী রুপা দত্ত উভয়েই সিদ্ধান্ত নেন তাদের পৃথিবীতে বেঁচে থাকার জন্য ও একাকীত্ব দূর করার জন্য সন্তানের প্রয়োজন। কিন্তু বাধা হয়ে দাঁড়ায় একাধিক অসুবিধা। 
সে সময় এক চিকিৎসকের সাথে যোগাযোগ করেন ওই দম্পতি। চিকিৎসকের পরামর্শ মেনে একসময় সন্তান গর্ব ধারণ করেন রূপা দত্ত। কিন্তু পরিস্থিতি এতটাই গুরুতর হয়ে ওঠে যে, সন্তান ভূমিষ্ঠ হওয়ার সময় এগিয়ে আসলেও, পিছু হটেন ওই চিকিৎসক। তিনি ঝুঁকি নিতে পারবেন না বলেও জানিয়ে দেন। নিরুপায় ওই দম্পতি অবশেষে যোগাযোগ করে কলকাতার এক বেসরকারি নার্সিংহোমের সঙ্গে। সেখানেই চিকিৎসকদের সাহায্যে ফুটফুটে একটি ছেলে এবং একটি মেয়ে সন্তানের জন্ম দেন বৃদ্ধ এই দত্ত দম্পতি।

চলতি বছরের ১০ অক্টোবর এই যমজ শিশুর জন্ম দেয় তারা। ৩০ নভেম্বর, বুধবার সদ্যজাত সন্তানদের নিয়ে তাদের অশোকনগরের বাড়িতে আসেন বাবা ও মা। বর্তমানে সন্তান ও তাদের মা উভয়েই সুস্থ রয়েছে। এদিকে, ওই দম্পতি বাড়িতে প্রবেশের সময় পরিবারের অন্য সদস্য ও প্রতিবেশীরা তাদের ফুল ছিটিয়ে, শঙ্খ বাজিয়ে বরণ করে নেয়। দম্পতি মনে করছেন সদ্যোজাত দুই ফুটফুটে সন্তানকে ধীরে ধীরে বড় করে তুলবেন। 

তপন দত্ত জানান, আমার একমাত্র সন্তান ট্রেন দুর্ঘনায় মারা যায়। আমরা তখন দিশেহারা মানসিকভাবে এবং একাকিত্বের যন্ত্রণা সহ্য করেছি। তারপর সিদ্ধান্ত নেই যে আমাদের অবলম্বন দরকার আছে। এরপর কলকাতার অনেক ডাক্তারের সাথে কথা বলেছি আলোচনা করেছি কোন ঝুঁকি আছে কিনা তাও জেনেছি। তারপরে সিদ্ধান্ত নিয়েছি যে আমাদের বাচ্চার দরকার এবং এর পরেই ছেলেই হোক বা মেয়ে হোক আমাদের সে যেন আমাদের পাশে দাঁড়াতে পারে এবং কষ্ট লাঘব করতে পারে। 

Related Articles

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

Stay Connected

0FansLike
3,875FollowersFollow
21,200SubscribersSubscribe
- Advertisement -spot_img

Latest Articles