
বাংলা স্টার রিপোট-: খাদ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. ইসমাইল হোসেন বলেছেন, বাঙ্গালির হাজার বছরের ঐতিহ্য নবান্ন উৎসব। আমাদের দেশের সংস্কৃতি অনেক সম্মৃদ্ধ, তা ধরে রাখতে হবে। সুস্থ সাংস্কৃতিক চর্চা করতে হবে।
বুধবার (৭ ডিসেম্বর) রাতে চাঁদপুর জেলা শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির বাৎসরিক কর্মসূচির অংশ হিসেবে নবান্ন উৎসবের আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, খুব ভালো লাগছে আজকে চাঁদপুরে এসে। কেন জানি মনে হচ্ছে আমি আমার বাড়িতে চলে এসছি। একটুও ক্লান্তবোধ হয়নি। সবকিছু দেখে আমি চাঁদপুরকে আমার বাড়িই মনে করি। চাঁদপুরের যেকোন অর্জনকে আমার পরিবারও সুখকর অনুভূতি প্রকাশ করে। আমার যা কিছু অর্জন এ চাঁদপুরবাসীর ভালোবাসায়। কারণ চাঁদপুরে জেলা প্রশাসক হিসেবে অনেক চ্যালেঞ্জিং সময়ও পার করেছি।
তিনি আরো বলেন, বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলার গড়ার প্রত্যয় নিয়ে প্রধানমন্ত্রী দেশকে এগিয়ে নিচ্ছেন। সরকারের ঘোষিত ২০৪১ সালের যে উন্নত বাংলাদেশ, তা গড়তে আমরা সবাই মিলে কাজ করব।
উৎসবে সভাপতিত্ব করেন চাঁদপুরের জেলা প্রশাসক (ডিসি) কামরুল হাসান। তিনি বলেন, এ উৎসব বাংলার সার্বজনীন উৎসব। প্রধান অতিথির প্রতি চাঁদপুরবাসীর ভালোবাসা তা আমার জন্যেও চ্যালেঞ্জ হবে।
বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন পুলিশ সুপার (এসপি) মো. মিলন মাহমুদ, জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি নাছির উদ্দিন আহমেদ, সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা আবু নঈম পাটওয়ারী দুলাল প্রমূখ।
অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মো. ইমতিয়াজ হোসেন, (রাজস্ব) মোছাম্মৎ রাশেদ আক্তার, (শিক্ষা ও আইসিটি) বশির আহমেদ, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট (এডিএম) এ এস এম মোসা, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সানজিদা শাহনাজ, প্রেসক্লাব সভাপতি গিয়াস উদ্দিন মিলন, সাবেক সভাপতি শহীদ পাটওয়ারী, ইকবাল হোসেন পাটওয়ারী, সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি তপন সরকার।অনুষ্ঠান সঞ্চালনায় ছিলেন স্থানীয় দৈনিক সুদীপ্ত চাঁদপুরের ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক এমআর ইসলাম বাবু।
সভার আগে ও পরে জেলার বিভিন্ন শিল্পীদের পরিবেশনায় মনোমুগ্ধকর সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশিত হয়