
স্টাফ রিপোটার- চাঁদপুর-৪ আসনের সাংসদ সাংবাদিক মুহম্মদ সফিকুর রহমান বলেছেন, বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধছিল একটি রাজনৈতিক যুদ্ধ। রাজনৈতিক নেতার ডাকে, নেতৃত্বে এবং ঘোষণায় যুদ্ধ হয়েছিল। বিপ্লবী সরকারের পরিচালনায় মুক্তিযুদ্ধ হয়ছে। আজকে সেই রাজনৈতিক অর্জনের বিরুদ্ধে একটি দল ষড়যন্ত্র করছে। সেই দলটির নাম হচ্ছে বিএনপি। তার সঙ্গে আছে জামায়াত, শিবির, আল-বদর, আল-শামছ। যে আল-বদর আল-শামছ তৈরী করে জামাত-শিবির। যে জামায়াত শিবির ঢাকা বিশ^বিদ্যালয়ের ৭জন শিক্ষককে চোখ বেঁধে হত্যা করেছিল। আমরা সবাই মিলে এই অপশক্তিকে রুখতে হবে।
বৃহস্পতিবার (৮ ডিসেম্বর) রাতে চাঁদপুর বিজয় মেলা বঙ্গবন্ধু মঞ্চে চাঁদপুর মুক্ত দিবস উপলক্ষে মুক্তিযুদ্ধের তাৎপর্যকে তুলে ধরে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, আমাদের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শুধুমাত্র বাংলাদেশ নয়, সারা বিশে^র বিস্ময় একজন রাষ্ট্র নেতা। বিশে^র ৩জন সৎ রাষ্ট্রনেতার মধ্যে তার নাম দুই নম্বরে এবং বিশে^র ১০জন সফল রাষ্ট্র নায়কের মধ্যে আমাদের প্রধানমন্ত্রী একজন। আমাদের প্রধানমন্ত্রীকে আমি ব্যাক্তিগতভাবে চিনি। তিনি অত্যন্ত দক্ষ, শিক্ষিত এবং মেধাবী। রাষ্ট্র পরিচালনায় এত দক্ষ মানুষ আমি আর কোথায়ও দেখিনি।
সফিকুর রহমান বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আজকে আমাদের দেশের কেউ আর না খেয়ে নাই। আজকে দেশের সকল পথ-ঘাট পাকা হয়েছে যাচ্ছে। আমাদের ফরিদগঞ্জ উপজেলায় এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে গাড়ীতে ঘুরলে কোথায় নামতে হবে না। তারপরেও বলব আমরা সব কাজ করতে পারিনি। কারণ করোনা সংকট এবং রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধে সারা বিশ^ টালমাটাল অবস্থায়। বিশ^ মানচিত্রের অংশ হিসেবে ওই অবস্থার বাহিরে আমরা নই।
তিনি বলেন, আজ চাঁদপুর মুক্ত দিবস। এইদিন আমরা শত্রুপক্ষের আক্রমনের কারণে ফরিদগঞ্জ থেকে চাঁদপুরে এসে পৌঁছাতে পারেনি। পথিমধ্যে মহামায়া এলাকায় পাকবাহিনীর সাথে যুদ্ধ হয়। তাদেরকে মোকাবেলা করতে হয়েছে আমাদেরকে। মহান স্বাধীনতা যুদ্ধের এত বছর পরেও জেলার মুক্তিযোদ্ধারা ঐক্যবদ্ধ হয়ে সকল অপশক্তির বিরুদ্ধে সোচ্চার। আমি আজকের এই দিনে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু, তার পরিবারের সদস্যসহ সকল শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করছি।
শিক্ষামন্ত্রীর জন্মদিনের কেক কাটছেন সাংবাদিক মুহম্মদ সফিকুর রহমান এমপিসহ অতিথিবৃন্দ।
চাঁদপুর জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ ইউনিটের কমান্ডার যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা এমএ ওয়াদুদ এর সভাপতিত্বে সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন খাদ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. ইসমাইল হোসেন, চাঁদপুরের জেলা প্রশাসক (ডিসি) কামরুল হাসান, পুলিশ সুপার (এসপি) মো. মিলন মাহমুদ।
অনুষ্ঠান সঞ্চালনায় ছিলেন বিজয় মেলা কমিটির মহাসচিব হারুন আল রশিদ। সভায় জেলা ও উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ ইউনিটের বীরমুক্তিযোদ্ধাও সুধীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
সভাশেষে মেলা মঞ্চে চাঁদপুর-৩ আসনের সাংসদ, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও শিক্ষামন্ত্রী ডাঃ দীপু মনি এমপির জন্মদিনের কেক কাটা হয়।
বিগত বছরে চাঁদপুর মুক্ত দিবসে ডাঃ দীপু মনি উপস্থিত থাকলেও রাষ্ট্রীয় কাজে তিনি বিদেশে থাকায় আসতে পারেননি।টারজিম করতে করতে