
বাংলা স্টার নিজস্ব প্রতিবেদক-ঢাকার বিভাগীয় গণসমাবেশ থেকে সরকারের পদত্যাগ ও সংসদ বিলুপ্ত করে তত্ত্বাবধায়ক সরকার প্রতিষ্ঠাসহ ১০ দফা দাবি জানিয়েছে বিএনপি। একই সঙ্গে জাতীয় সংসদ থেকে নিজেদের দলীয় সাতজন এমপির পদত্যাগ ঘোষণা করা হয়েছে। আজ তাঁরা সংসদ ভবনে স্পিকারের কাছে পদত্যাগপত্র জমা দেবেন। সমাবেশে জাতীয় সংসদ থেকে বিরোধী দল জাতীয় পার্টির এমপিদেরও পদত্যাগ করার জন্য আহ্বান জানানো হয়। এ ছাড়া গণসমাবেশে ঘোষণা করা হয়েছে সমমনা রাজনৈতিক দলের সঙ্গে যুগপৎ আন্দোলনের কর্মসূচি ‘গণমিছিল’ ও গ্রেফতার নেতা-কর্মীদের মুক্তি দাবিতে ‘বিক্ষোভ সমাবেশ’। গতকাল বিকালে রাজধানীর গোলাপবাগ মাঠে অনুষ্ঠিত এ বিশাল সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন এসব কর্মসূচি ঘোষণা করেন।
লাখো মানুষের এ সমাবেশে তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে পদত্যাগ করতে হবে, অবিলম্বে সংসদ ভেঙে দিয়ে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর করতে হবে। ভোট হতে হবে ব্যালটের মাধ্যমে এবং নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে। তিনি বলেন, ‘আজকের সমাবেশ জনসমুদ্রে রূপ নিয়েছে। রাজধানীর খিলগাঁও, মতিঝিল, কমলাপুর, মুগদা, যাত্রাবাড়ীসহ আশপাশের সর্বত্র লোকে লোকারণ্য হয়ে গেছে। এ সরকার এখন জনতার ভয়ে ভীত। এজন্য আমাদের ওপর নির্যাতন চালানো হচ্ছে। কিন্তু এতে শেষরক্ষা হবে না। মানুষ এখন পরিবর্তন চায়। জনগণের আন্দোলনের মাধ্যমেই এ সরকারের পতন হবে। নিরপেক্ষ নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠিত হবে।’
বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও ঢাকা মহানগরী উত্তর বিএনপির আহ্বায়ক আমানউল্লাহ আমানের সভাপতিত্বে মহানগরী উত্তর বিএনপির সদস্যসচিব আমিনুল হক ও দক্ষিণের সদস্যসচিব রফিকুল আলম মজনু সমাবেশ পরিচালনা করেন। দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার জমির উদ্দিন সরকার, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, ড. আবদুল মঈন খান, নজরুল ইসলাম খান, বেগম সেলিমা রহমান, ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু, দলের ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল্লাহ আল নোমান, বরকতউল্লা বুলু, অধ্যাপক ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন, আহমেদ আজম খান, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা জয়নুল আবদীন ফারুক, অধ্যাপক ডা. ফরহাদ হালিম ডোনার, যুগ্ম-মহাসচিব মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দন খোকন, হাবিব-উন-নবী খান সোহেল, রাজশাহীর সাবেক মেয়র মিজানুর রহমান মিনু, সংসদ সদস্য আমিনুল ইসলাম, গোলাম মোহাম্মদ সিরাজ, মোশাররফ হোসেন, জাহিদুর রহমান ও সংরক্ষিত নারী আসনের সদস্য ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানা, সাবেক এমপি সরদার সাখাওয়াত হোসেন বকুল, দলের সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স, বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা ইঞ্জিনিয়ার ইশরাক হোসেন, তাবিথ আউয়াল, শরিফুল আলম, ব্যারিস্টার কায়সার কামাল, শেখ রবিউল আলম রবি, মঞ্জুর এলাহী, গোলাম কবির কামাল, আবু সালেহ চৌধুরী, মহিলা দলের আফরোজা আব্বাস, শিরিন সুলতানা, যুবদলের মামুন হাসান, ছাত্রদলের সভাপতি কাজী রওনকুল হাসান শ্রাবণসহ বিভিন্ন জেলা থেকে আগত শতাধিক নেতা বক্তব্য দেন।