
স্টাফ রিপোটার- বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে চাঁদপুর জেলা আওয়ামী লীগের আয়োজনে আলোচনা সভা ও দোয়া অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বুধবার (১৪ ডিসেম্বর) বিকেলে জেলা আওয়ামীলীগের দলীয় কার্যালয়ে দোয়া পূর্ব আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি নাছির উদ্দিন আহমেদ।
তিনি তার বক্তব্যে বলেন, স্বাধীনতার পর থেকেই সরকারি ও দলীয় ভাবে যথাযোগ্য মর্যাদায় শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস পালন করা হচ্ছে। স্বাধীনতার ঠিক ৪৮ ঘন্টা পূর্বে দেশকে মেধাশূন্য করতে বুদ্ধিজীবীদের নির্মমভাবে হত্যা করে পাকিস্তানী দোসররা। যখন দেখেছে এ দেশকে আর পরাধীন রাখা যাবে না ঠিক সময়ে জামায়েত ইসলামীর সহযোগিতায় বুদ্ধিজীবী জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানদের হত্যা করা হয়েছিল। আমাদেরকে এ বীর শহীদদের সব সময় স্মরণ করতে হবে।
আলোচনা সভায় প্রধান বক্তার বক্তব্য রাখেন জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক বীর আবু নঈম পাটওয়ারী দুলাল।
তিনি বলেন, ১৯৭১ সালে মহান স্বাধীনতা যুদ্ধের শেষ সময়ে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী দেশের বিভিন্ন স্থানে আত্মসমর্পণ শুরু করে এবং পাকিস্তানিরা যখন তাদের অনিবার্য পরাজয় উপলব্ধি করে পাকিস্তানি সেনাবাহিনী ও তাদের দোসর রাজাকার, আল-বদর, আল-শামস বাহিনীর প্রত্যক্ষ সহযোগিতায় এই দিনে বাংলাদেশের শ্রেষ্ঠ সন্তান বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মেধাবী মানুষদের ধরে নিয়ে গিয়ে নির্মমভাবে হত্যা করে। বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সুদৃঢ় নেতৃত্বে ’৭১-এর স্বাধীনতা বিরোধী ও ১৪ ডিসেম্বরের কলঙ্কজনক বুদ্ধিজীবী হত্যাকারী শীর্ষ কয়েকজন যুদ্ধাপরাধী রাজাকারের বিচার কার্য সম্পন্ন ও রায় কার্যকর হয়েছে।
জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক অ্যাড. জহিরুল ইসলামের পরিচালনায় আরো বক্তব্য রাখেন জেলা আওয়ামীলীগের আইন বিষয়ক সম্পাদক অ্যাড, রুহুল আমিন সরকার, সদস্য অ্যাড বদিউজ্জামান কিরণ, খালেদুর রব মিঠু, জেলা যুবলীগের আহ্বায়ক মিজানুর রহমান কালু ভূঁইয়া প্রমুখ।
এ সময় আওয়মীলীগ, যুবলীগ, শ্রমিকলীগ, স্বেচ্ছাসেবকলীগ, ছাত্রলীগের অসংখ্য নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন।
আলোচনা সভা শেষে মিলাদ ও দোয়া অনুষ্ঠিত হয়। মোনাজাত পরিচালনা করেন বাইতুল আমিন জামে মসজিদের পেশ ইমাম হাফেজ আব্দুস সালাম।