31 C
Bangladesh
Tuesday, September 26, 2023
spot_img

ভারতের মতো কোনো দেশই সন্ত্রাসকে ব্যবহার করেনি- হিনা রাব্বানি

বাংলা স্টার আন্তর্জাতিক ডেস্ক-পাকিস্তানের পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী হিনা রাব্বানি খার বলেছেন, সন্ত্রাসবাদকে ব্যবহারের ক্ষেত্রে ভারতের মতো কোনো দেশই তা ভালোভাবে করতে করেনি। তিনি আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলেন, পাকিস্তানকে অস্থিতিশীল করার পাঁয়তারা করছে দিল্লি। বুধবার রাজধানী ইসলামাবাদে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন তিনি। খবর ডন

সংবাদ সম্মেলনে হিনা রাব্বানি বলেন, ভারতের উদ্দেশ্য হলো- সন্ত্রাসবাদের মাধ্যমে পাকিস্তানের শান্তি ও নিরাপত্তা নষ্ট করা। এ ক্ষেত্রে ভারতের চেয়ে কোনো দেশই সন্ত্রাসবাদকে ভালোভাবে ব্যবহার করেনি। তিনি আরও বলেন, সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে বিশে^র দৃষ্টি আকর্ষণ করতে এবং নিজে আক্রান্ত হওয়ার ভান করে ভারতের চেয়ে কোনো দেশ এর থেকে বেশি লাভবান হয়নি।
এর আগের দিন পাকিস্তানের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রানা সানাউল্লাহ একই বিষয়ে ভারতকে একহাত নিয়েছেন। মঙ্গলবার সংবাদ সম্মেলনে সানাউল্লাহ দাবি করেন, পাকিস্তানের অভ্যন্তরে ভারত যেসব সন্ত্রাসী তৎপরতা চালাচ্ছে, সেগুলোর পরিষ্কার প্রমাণ রয়েছে।

রাজধানী ইসলামাবাদে ওই সংবাদ সম্মেলনে রানা সানাউল্লাহ বলেন, আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি, বিশ্বের সামনে ভারতের সন্ত্রাসবাদের মুখ উন্মোচন করব। তিনি আরও বলেন, দশকের পর দশক ধরে পাকিস্তান সন্ত্রাসবাদের আগুনে পুড়ছে। আমাদের মসজিদ, ইমামবাড়া, গুরুত্বপূর্ণ ভবনও জনসমাবেশ টার্গেট করা হয়েছে। গত বছর লাহোরে বিস্ফোরণে ভারতের সম্পৃক্ততা রয়েছে উল্লেখ করে সানাউল্লাহ বলেন, আজ আমরা বিষয়টি আপনাদের সামনে তুলে ধরতে চাই, সেই বিস্ফোরণের সঙ্গে ভারত জড়িত ছিল। অর্থাৎ সানাউল্লাহ ও হিনা রাব্বানি একই বিষয়ে ধারাবাহিক সংবাদ সম্মেলন করলেন।

এদিকে গতকাল হিনা রাব্বানি তার সংবাদ সম্মেলন শুরুই করেন, ‘সন্ত্রাসবাদ শান্তির জন্য বড় ধরনের হুমকি’। তিনি আরও বলেন, আমি এখানে বলতে চাই- দক্ষিণ এশীয় আঞ্চলিক সহযোগিতা সংস্থা (সার্ক) উন্নতি করছে, আঞ্চলিক সংযোগ সেতু তৈরি করছে। কিন্তু এমন জায়গায় কেউ কেউ নিজেদের সন্ত্রাসবাদের শিকার হিসেবে নিজেদের তুলে ধরছে। নিরাপত্তা পরিষদের (এনএনএসসি) সভাপতি হিসেবে কাল্পনিক উৎস থেকে সন্ত্রাসবাদ নিয়ে তারা ঢোল বাজাচ্ছে। এদিকে আমরাও একটি ধোঁয়াশাপূর্ণ জায়গায় আছি; কেননা আমরা ভণ্ডকে , ভণ্ড ডাকতে ইচ্ছুক নই। হিনা রাব্বানি আরও বলেন, কিন্তু যখন ‘অকাট্য’ প্রমাণ ছিল, সেই সময় কোদালকে, কোদাল বলা প্রয়োজন ছিল।

উল্লেখ্য, ১৯৪৭ সালে ভারত-পাকিস্তান স্বাধীন হওয়ার পর থেকেই দেশ দুটির মধ্যে বৈরী সম্পর্ক চলে আসছে। কয়েক দফায় তারা যুদ্ধে লিপ্ত হয়েছে। কাশ্মীর সীমান্তে উত্তেজনা লেগেই রয়েছে। কাশ্মীর ইস্যুকে ভারত নিজেদের অভ্যন্তরীণ ইস্যু হিসেবে দাবি করলেও, পাকিস্তানে এটিকে আন্তর্জাতিক ইস্যু হিসেবে বিশ্ব সম্প্রদায়ের কাছে তুলে ধরার চেষ্টা করে থাকে।

Related Articles

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

Stay Connected

0FansLike
3,871FollowersFollow
21,200SubscribersSubscribe
- Advertisement -spot_img

Latest Articles