
বাংলা স্টার রিপোট-শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেছেন, একাত্তর এবং পঁচাত্তরের হত্যাকারীরা ২০০১ সালে তারা ক্ষমতায় এসে নির্যাতন-নিপীড়ন চালিয়েছে। ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট পুরো আওয়ামী লীগ নেতৃত্বকে শেষ করার ষড়যন্ত্র হয়েছে। এখন তারা আবারো মাঠে নেমেছে।
শুক্রবার দুপুরে ঢাকা কলেজে আয়োজিত বিজয় দিবসের আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, সেই হত্যাকারীরা ২০১৩-১৪ সালে অগ্নি-সন্ত্রাস চালায়। এখনো সেই অপচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। কিন্তু দেশের মানুষ তাদের খেলা ধরে ফেলেছে। এ কারণে নানা কৌশলেও মানুষকে পাশে পাচ্ছে না তারা। মানুষ তাদের ডাকে সাড়া দিচ্ছে না।
তিনি আরো বলেন, বাংলাদেশ ও স্বাধীনতার বিরোধী এই অপশক্তি একের পর এক ষড়যন্ত্র ব্যর্থ হয়েছে। এমনকি তারা বিদেশে কোটি কোটি টাকা দিয়ে লবিস্ট নিয়োগ করেও দেশকে অস্থিতিশীল করার চেষ্টা করছে। এসব অপকর্ম যারা করে তাদেরকে ধিক্কার দেওয়া ছাড়া কোনো উপায় নেই।
ডা. দীপু মনি বলেন, জাতির পিতা বুঝতে পেরেছিলেন ১৯৪৭ সালে যে স্বাধীনতা পেয়েছিলাম তা বাঙালির জন্য নয়। এ কারণে তিনি দেশ ভাগের পর পরই সংগঠন গড়ার কাজ শুরু করলেন। প্রথম তৈরি করলেন যুবলীগ। এরপর প্রতিষ্ঠা করলেন ছাত্রলীগ। আর ১৯৪৯ সালের ২৩ জুন গঠিত হলো আওয়ামী লীগ। একটি অসাম্প্রদায়িক সমাজ গড়ে তোলার জন্য ধাপে ধাপে বাঙালিকে সুসংগঠিত করেছেন বঙ্গবন্ধু।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন- মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদফতরের মহাপরিচালক প্রফেসর নেহাল আহমেদ, ঢাকা কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক মোহাম্মদ ইউসুফ, উপাধ্যক্ষ প্রফেসর এ টি এম মইনুল হোসেন, শিক্ষক পরিষদের সম্পাদক ড. মো. আব্দুল কুদ্দুস সিকদার প্রমুখ।