31 C
Bangladesh
Tuesday, September 26, 2023
spot_img

পোশাক খাতে ইউরোপে রপ্তানি প্রবৃদ্ধি করেছে বাংলাদেশ

বাংলা স্টার রিপোট- চলতি বছরের জানুয়ারি-সেপ্টেম্বর পর্যন্ত পোশাক খাতে ইউরোপে রপ্তানি প্রবৃদ্ধি করেছে বাংলাদেশ, যা গাণিতিক হিসেবে গত বছর একই সময়ের তুলনায় ৪৩ দশমিক ২১ শতাংশ বেশি।

ইউরোপীয় পরিসংখ্যান সংস্থা (ইউরোস্ট্যাট) ২০২২ সালের জানুয়ারি-সেপ্টেম্বর সময়ের জন্য ইউরোপীয় ইউনিয়নের পোশাক আমদানির সর্বশেষ পরিসংখ্যান প্রকাশ করেছে।
পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ২০২১ সালের একই সময়ের তুলনায় উল্লেখিত সময়কালে বাংলাদেশ থেকে ইউরোপীয় ইউনিয়নের পোশাক আমদানি ৪৩ দশমিক ২১ শতাংশ বেড়ে এক লাখ ৮৫ হাজার কোটি টাকার বেশি দাঁড়িয়েছে, যেখানে বিশ্ব থেকে তাদের আমদানি ২৭ দশমিক ৮৭ শতাংশ বেড়েছে।

আগের মতোই বাংলাদেশ ২২ দশমিক ৫৬ শতাংশ শেয়ার নিয়ে ইউরোপে পোশাক আমদানিতে দ্বিতীয় বৃহত্তম উৎস এবং চীন ২৯ দশমিক ০৪ শতাংশ শেয়ার নিয়ে তালিকায় শীর্ষ অবস্থানে রয়েছে।

এদিকে, ইইউ ২০২২ সালের প্রথম নয় মাসে চীন থেকে দুই লাখ ৩৮ হাজার কোটি টাকার বেশি মূল্যের পোশাক আমদানি করেছে, যেখানে বাৎসরিক প্রবৃদ্ধি ছিল ২৫ দশমিক ১৯ শতাংশ।

অন্যদিকে, তৃতীয় বৃহত্তম পোশাক আমদানির উৎস, তুরস্ক থেকে ইইউ এর আমদানি ৯৭ কোটি ২১ লাখ টাকায় পৌঁছেছে। সেখানে বাৎসরিক প্রবৃদ্ধি হয়েছে ১৪.৮৬ শতাংশ। অন্যদিকে, ভারত থেকে ইউরোপীয় ইউনিয়নের আমদানি বেড়েছে ১৫ দশমিক ৮৫ শতাংশ।

ইউরোপীয় ইউনিয়নের শীর্ষ ১০ পোশাক সরবরাহকারী দেশের মধ্যে বাংলাদেশ সর্বোচ্চ প্রবৃদ্ধি অর্জন করেছে। উল্লেখযোগ্য প্রবৃদ্ধিসহ অন্য দেশগুলো হলো- কম্বোডিয়া ৪১ দশমিক ০৮ শতাংশ, ইন্দোনেশিয়া ৩৩ দশমিক ৪৬ শতাংশ ও পাকিস্তান ৩০ দশমিক ৭৬ শতাংশ।

বিজিএমইএ পরিচালক মহিউদ্দিন রুবেল বলেন, পরিসংখ্যান অনুযায়ী ইউরোপে আমাদের যে প্রবৃদ্ধি, তা অত্যন্ত ভালো একটা দিক। অ্যাভারেজ (গড়) থেকেও ওখানে আমরা ভালো অবস্থানে আছি। তালিকায় প্রথম স্থানে থাকা চীনের ওখানে যে শেয়ার ভ্যালু, সেটি টাকার অঙ্কে বাংলাদেশ থেকে প্রায় ৫৩ কোটি ২০ লাখ টাকারও বেশি। আর যদি আমরা প্রবৃদ্ধির হিসাব যদি করি, সেখানে চীন থেকে আমাদের ১৮ দশমিক ০২ শতাংশ বেশি। এটি আমাদের জন্য আনন্দের সংবাদ। যদিও তাদের সঙ্গে আমাদের রপ্তানি পার্থক্য অনেক বেশি, তবে ইউরোপের বাজারে সেটি সংকুচিত হয়ে আসছে।

তিনি আরও বলেন, অন্য দেশগুলোর কথা যদি আমরা বলি, তুরস্ক ইউরোপের একটি দেশ। তাদের ভালো করার একটি কারণ হলো অবস্থানগত কারণে তাদের লিড টাইম কম লাগে। ফলে বেশি ব্যয় হলেও তাদের কাছ থেকে পণ্য নেয়। বাংলাদেশ নিজেও ভালো পরিমাণ পণ্য রপ্তানি করে। অন্য দেশগুলোর মধ্যে ভারত, কম্বোডিয়া ও ইন্দোনেশিয়া ভালো করেছে। এর মধ্যে সবচেয়ে ভালো করেছে বাংলাদেশ।

বিজিএমইএর এই পরিচালক বলেন, ইউরোপের ক্ষেত্রে বাংলাদেশের এই অর্জন অবশ্যই একটি বিরাট ব্যাপার। যেভাবে আমরা বায়ারদের পছন্দে আছি, যুদ্ধসহ এত সীমাবদ্ধতার মধ্যেও আশা করছি, মন্দা কেটে গেলে আমরা আরও ভালো করব।

Related Articles

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

Stay Connected

0FansLike
3,872FollowersFollow
21,200SubscribersSubscribe
- Advertisement -spot_img

Latest Articles