
বাংলা স্টার রিপোট-চাঁদপুরের জেলা প্রশাসক (ডিসি) কামরুল হাসান বলেছেন, পুলিশ ও জনতা একসাথে আইনশৃংখলা রক্ষা করবে। একটি থানাকে জঙ্গিবাদ প্রতিরোধ, মাদক, ইভটিজিং ও বাল্য বিবাহমুক্ত সমাজ গড়ে তুলতে থানার পুলিশ এবং জনতা একসাথে কাজ করতে হবে। পুলিশের সাথে জনগণের বন্ধুত্ব এবং আস্থা অর্জন আরও বাড়াতে হবে। তাহলেই জনগণ পুলিশকে সাহায্য করবে। আমরা শান্তি চাই, বিশৃংখলা চাই না।
বৃহস্পতিবার (২২ ডিসেম্বর) দুপুরে মতলব উত্তর থানা পরিদর্শনকালে উপস্থিত পুলিশ কর্মকর্তাদের উদ্দেশ্যে এসব কথা বলেন।
ডিসি বলেন, জনগণের নাগালে সেবা এগিয়ে দিতে আমরা বদ্ধপরিকর। সমাজের একটি অংশের প্রতিনিধি হিসেবে পুলিশ সদস্যদের সকলকে নিয়ে নিরপেক্ষভাবে কাজ করতে হবে। আপনাদের সম্মানের আসন নিজেদেরই ধরে রাখতে হবে। জনবান্ধব পুলিশ হয়ে দায়িত্ব পালন করে থানায় গিয়ে কেউ যেন হয়রানির শিকার না হন সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে।
জেলা প্রশাসক থানায় এসে প্রথমে সার্বিক পরিস্থিতি ও বর্তমান অবস্থার খোঁজ-খবর নেন এবং বিভিন্ন কাজের বিষয়ে পরামর্শ দেন।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আশরাফুল হাসান, জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এআরএম জাহিদ হাসান, মতলব উত্তর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ মহিউদ্দিন ও পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) সানোয়ার হোসেনসহ অন্যান্য কর্মকর্তারা এ সসময় উপস্থিত ছিলেন।
পরে জেলা প্রশাসককে গার্ড অব অনার প্রদান করেন থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) রমিজ উদ্দিন ও সঙ্গীয় ফোর্স।
ধনাগোদা নদীতে কচুরিপানা সমস্যা সমাধানে উপস্থিত সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে জেলা প্রশাসক বলেন, সারাদেশের বিভিন্ন নদীর কচুরিপানা জামাটের কারনে নদীর নাব্যতা হারিয়ে যাচ্ছে এবং নৌ যান চলাচলে ব্যহত হচ্ছে। ধনাগোদা নদীর শ্রীরায়েরচর থেকে কালির বাজার পর্যন্ত কচুরিপানা সমস্যা নিরসনের জন্য পানি সম্পদ মন্ত্রণালয় চিঠি লিখেছি। পানি উন্নয়ন বোর্ডের সাথে যোগাযোগ করেছি, বরাদ্দ পেলে পরিস্কার করা হবে। আর যদি না হয় স্থানীয় উদ্যোগে কচুরিপানা পরিষ্কার করা হবে।
তিনি অরো বলেন, নদী দখল করে কেউ যদি অবৈধ স্থাপনা নির্মাণ করে, তাহলে অবশ্যই উচ্ছেদ অভিযান করে নদী দখলমুক্ত করা হবে।