
বাংলা স্টার পঞ্চগড় প্রতিনিধি-পঞ্চগড়ে বিএনপির গণমিছিলে পুলিশের সঙ্গে নেতাকর্মীদের সংঘর্ষের সময় নিহত আব্দুর রশিদ আরেফিনের (৫১) বাড়িতে চলছে শোকের মাতম। স্বামীর কথা মনে করে বারবার কান্নায় ভেঙে পড়ছেন স্ত্রী চামেলী বেগম। বাড়িজুড়ে স্বজনদের কান্নার রোল।
অন্যদিকে ছেলের মৃত্যুর খবর শুনে পাগলপ্রায় বৃদ্ধা মা আনোয়ারা বেগম। আরেফিনের মৃত্যুতে জেলার বোদা উপজেলার পাথরাজ গ্রামে নেমে এসেছে শোকের আবহ। আজ সকাল থেকেই আরেফিনের জানাজায় অংশ নিতে তার বাড়িতে আসতে থাকেন স্বজনরা।
আরেফিন উপজেলার ময়দানদীঘি ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক আহ্বায়ক কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক ছিলেন। ওই ইউনিয়ন বিএনপির কাউন্সিল অনুষ্ঠিত হয়েছে তবে এখনো কমিটি ঘোষণা হয়নি। তিনি ওই ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি প্রার্থী ছিলেন বলে জানিয়েছেন বোদা উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য সচিব লাইলী বেগম।
আজ রোববার সকালে পঞ্চগড় জেলা বিএনপির সদস্য সচিব ফরহাদ হোসেন আজাদসহ জেলা-উপজেলার নেতাকর্মীরা আরেফিনের বাড়িতে যান। তারা আরেফিনের পরিবারের সদস্য ও স্বজনদের সঙ্গে স্বাক্ষাৎ করেন। এ সময় আরেফিনের স্ত্রী চামেলী বেগম স্বামী হত্যার বিচার দাবি করেন।
আরেফিনের একমাত্র ছেলে আব্দুল্লাহ আল মাহী (১১) বলে, ‘যারা আমার বাবাকে মেরেছে আমি তাদের বিচার চাই।’
এদিকে বিএনপি নেতার মৃত্যুর ঘটনায় নতুন করে আরও কর্মসূচি দেওয়ার কথা জানিয়েছে বিএনপি।
জেলা বিএনপির সদস্য সচিব ফরহাদ হোসেন আজাদ বলেন, ‘এখন কোনো বিএনপি নেতা মারা গেলে পুলিশ বলছে হৃদরোগে মারা গেছে। এটা এখন তাদের মুখস্ত বুলি হয়ে দাঁড়িয়েছে। আগামীকাল ২৬ ডিসেম্বর সারা দেশে গণকর্মসূচি দেবে বিএনপি। ২৭ ডিসেম্বর কেন্দ্রীয় নেতারা আরেফিনের বাড়িতে স্বজনদের প্রতি সমবেদনা জানাতে আসবেন। এ হত্যার জবাব আমরা আন্দোলনের মাধ্যমে দিব।’
এর আগে গতকাল সন্ধ্যায় পঞ্চগড় পুলিশ সুপার এসএম সিরাজুল হুদা তার কার্যালয়ে প্রেস ব্রিফিংয়ে দাবি করেন, ‘আবদুর রশিদ আরেফিন নামে যে ব্যক্তি মারা গেছেন তিনি বাইপাস রোগী। তিনি হৃদরোগজনিত কারণে মারা গেছেন। তার শরীরে কোনো আঘাতের চিহ্ন ছিল না।’