
স্টাফ রিপোটার-মেঘনা নদীর চাঁদপুরের মতলব উত্তর, সদর ও হাইমচর উপকূলীয় এলাকা শীত মৌসুম আসলেই বিভিন্ন প্রজাতির মাছের রেনু পোনা নিধন করেন এক শ্রেনীর অসাধু জেলে। জেলা ও উপজেলা মৎস্য বিভাগ থেকে কোন ধরণের অভিযান না থাকায় নির্বিচারে রেনুপোনা ধ্বংস হচ্ছে। আর এসব রেনু পোনা নিধনে ব্যবহার হচ্ছে মশারি জাতীয় বিশেষ জাল। একই সাথে পাঙাস মাছের পোনা নিষিদ্ধ থাকলেও তাও বন্ধ হচ্ছে না। বিশেষ ধরণের বড় সাইজের ফাঁদ (ছাই) দিয়ে পাঙাস মাছের পোনা ধরে প্রকাশ্যে বিক্রি হচ্ছে হাট-বাজারে।
মঙ্গলবার (২৭ ডিসেম্বর) চাঁদপুর শহরের একাধিক পাড়া মহল্লা দেখাগেছে সাগরের পোনার নাম করে দেশীয় প্রজাতির মাছের রেনু পোনা বিক্রি হচ্ছে প্রকাশ্যে। মেঘনা নদী থেকে রেনু পোনা আহরণ ও বিক্রি নিষিদ্ধ থাকলেও এসব জেলে ও বিক্রেতারা আইনের আওতায় আসছে না।
বেলা ২টার দিকে শহরের কালিবাড়ী পুলিশ বক্সের সামনে দেখাগেছে এক কিশোর প্রকাশ্যে পাঙাসের পোনা বিক্রি করছেন। যে পাঙাসের একটি পোনা মাছ বড় হলে বিক্রি হবে কয়েক হাজার টাকা। এগুলো বড় হওয়ার সুযোগ দিচ্ছে না অসাধু জেলেসহ একটি সংঘবদ্ধ সিন্ডিকেট।
২০১৮-২০১৯ সালেও তৎকালীন চাঁদপুর জেলা মৎস্য কর্মকর্তা আসাদুল বাকি নিজ উদ্যোগে মেঘনা মোহনা, রাজরাজেশ^র ও মিনি কক্সবাজার নামক এলাকায় অভিযান চালিয়ে পাঙাস মাছ ধরার কাজে জেলেদের হাতে নাতে গ্রেফতার করেন। এসব ব্যাপারে খুবই কঠোর হওয়ার কারণে এখন মৌসুমে প্রচুর পরিমাণে বড় সাইজের পাঙাস পেয়েছেন জেলেরা।
চাঁদপুর সদর উপজেলা সহকারী মৎস্য কর্মকর্তা মো. মিজানুর রহমান জানান, রেনু পোনা নিধনের বিষয়টি আমাদেরও নজর এসেছে। আমাদের উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তার নেতৃত্বে সোমবার (২৬ ডিসেম্বর) রাতে মেঘনা নদীতে অভিযান পরিচালনা করে বেশ কিছু বেহুন্দি জাল ও চায়না চাই জব্দ করা হয়েছে।
চাঁদপুর জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. গোলাম মেহেদী হাসান এই বিষয়ে বলেন, আমি বর্তমানে ছুটিতে আছি। তবে মশারি জাল দিয়ে রেনু পোনা কিংবা পাঙাসের পোনা ধরা সব সময়ই নিষিদ্ধ। আমি জেনেছি আমাদের সদরের কর্মকর্তা ইতোমধ্যে অভিযান করে কিছু জাল আটক করেছেন। অভিযান চলবে।