
বাংলা স্টার অনলাইন ডেস্ক-পশ্চিমবঙ্গের জনপ্রিয় মুখ অভিনেত্রী অপরাজিতা আঢ্য। তার হাসির শব্দে শ্যুটিং সেট থেকে শুরু করে প্রতিবেশিরাও টের পায় এটা অপরাজিতা। এতো হাসিখুশি এই অভিনেত্রী বছর শেষে তার মন ভাল নেই জানালেন। সবার সঙ্গে ভাগ করে নিলেন তার চরম যন্ত্রণার কথা। বললেন, ‘বার বার একই কষ্ট হয়, কেউ বোঝে না এই কষ্ট!’
আনন্দবাজারের প্রতিবেদনে বলা হয়, ‘লক্ষ্মী কাকিমা সুপারস্টার’ সিরিয়াল শেষ হচ্ছে, সে কথা নিজেই জানিয়েছিলেন অভিনেত্রী অপরাজিতা আঢ্য। প্রায় এক বছরের যাত্রার ইতি। শেষ দিনের শ্যুটিং শেষে অনেকটা আবেগপ্রবণ হয়ে পড়েন অপরাজিতা। এই সিরিয়ালের মাধ্যমেই প্রথম ছোট পর্দায় দর্শক পান অপরাজিতা আর দেবশঙ্কর হালদারের জুটি। তাই শ্যুটিংয়ের শেষবেলায় সবার সঙ্গে ছবি দিয়ে মনের ভাব প্রকাশ করলেন তিনি।
অপরাজিতা লেখেন, ‘আজ আমার লক্ষ্মী কাকিমা সুপারস্টারের শেষ দিনের শুটিং ছিল। একটা ধারাবাহিক যখন শেষ হয়ে যায়, কী হয়? সবাই বলবে কী আবার হয়, নতুন ধারাবাহিক শুরু। সেটা তো জীবনের নিয়ম কিছু শেষ হলে কিছু শুরু হয়। কিন্তু এই যে তিল তিল করে প্রতিদিন একটি পরিবার তৈরি হয় সেই সমগ্র পরিবারটার অর্থাৎ সব অভিনেতা, অভিনেত্রী ও কলাকুশলীর আবেগের মৃত্যু হয়। একাধিকবার সেই যন্ত্রণা ভোগ করতে হয়। সে যে কী যন্ত্রণার, খুব কম জনই তা বোঝে।’
বহু বছর ধরে এই একই যন্ত্রণা ভোগ করছেন, তবুও যেন কষ্টটা একই। অপরাজিতা বলেন, ‘গল্পটায় অনেক রকম রং ছিল। সেভাবে যদি ভাবা হতো, তা হলে আরও কিছুদিন চলতো সিরিয়ালটা। আমি খুশি নই।’
অপরাজিতা আঢ্য ‘হামি’, ‘মাটি’, ‘নূর জাহান’, ‘অস্কার’, ‘প্রজাপতি বিস্কুট’, ‘সমান্তরাল’, ‘নবাব’, ‘মেরি পিয়ারি বিন্দু’, ‘প্রাক্তন’, ‘বেলাশেষে’, ‘ওপেন টি বায়োস্কোপ’, ‘গয়নার বাক্স’, ‘চুপকথা’, ‘ল্যাপটপ’, ‘ম্যাডলি বাঙালি’, ‘বাজিমাৎ’, ‘মহুলবনরি সেরেঞ’, ‘কে আপন কে পর’, ‘তুমি আর আমি’, ‘চিনি’, ‘একান্নবর্তী’, ‘বেলা’ চলচ্চিত্রে অভিনয় করেন।
তিনি ‘তাকা না সোনা’, ‘গানের ওপারে’, ‘অদ্বিতীয়া’, ‘কনকাঞ্জলি’, ‘রান্নাবাটী গালগপ্প ভোজ’, ‘মা’, ‘সেরা বৌঠান’, ‘জলনূপুর’, ‘চোখের তারা তুই’, ‘পুন্যি পুকুর’, ‘সন্ন্যাসী রাজা’, ‘রান্নাঘরলক্ষী কাকিমা সুপার স্টার’ সিরিয়ালে সফলতার সঙ্গে অভিনয় করেন।
অপরাজিতা ‘প্রাক্তন’ চলচ্চিত্রে সেরা সহায়ক চরিত্রের জন্য ফিল্মফেয়ার পুরস্কার পান। এ ছাড়া চিনি, একান্নবর্তী এবং সর্ব টেলিভিশন পুরস্কারও পান তিনি।