
বাংলা স্টার প্রতিবেদন –নৃত্য ও অভিনয়-দুমাধ্যমেই নিয়মিত নাদিয়া আহমেদ। অভিনয়ে তাকে ধারাবাহিক নাটকেই বেশি দেখা যায়। বর্তমান ব্যস্ততা ও সমসাময়িক প্রসঙ্গ নিয়ে আজকের ‘হ্যালো…’ বিভাগে কথা বলেছেন তিনি।
প্রশ্ন: আপনার অভিনীত কয়েকটি ধারাবাহিক নাটক টিভিতে প্রচার হচ্ছে। কেমন সাড়া পাচ্ছেন?
নাদিয়া: আসলে এখন একক নাটক বেশি নির্মিত ও প্রচার হচ্ছে। এমনকি মানুষও একক নাটকই বেশি দেখছেন। সেদিক বিবেচনা করে, আমি খুবই সৌভাগ্যবান মনে করি নিজকে। আমার অভিনীত টেলিভিশনে প্রচার হওয়া ধারাবাহিক নাটকগুলো থেকে ভালোই সাড়া পাচ্ছি। ছোটবেলা থেকেই তো দেখে এসেছি নাটক মানেই ধারাবাহিক। একটা ধারাবাহিক নাটক তৈরি, প্রচার এবং দর্শক অবধি পৌঁছে তাদের ভালোলাগা ধরে রাখা একটা গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। নির্মাতার সঙ্গে আমরাও যত্নবান হয়ে অভিনয় করার চেষ্টা করি। সে জন্য হয়তো এখনো আমি দর্শকদের ভালোবাসা পাই।
প্রশ্ন: কোন দিকগুলো বিবেচনায় নিয়ে অভিনয় করলে ধারাবাহিক নাটক দর্শকদের কাছে সহজে পৌঁছানো যায় বলে মনে করেন?
নাদিয়া: ধারাবাহিক নাটকে কাজ করা একটি টিম ওয়ার্কের মতো। একক নাটকেও তাই, তবে সেটা অল্প সময়ের জন্য। ধারাবাহিক নাটকে দীর্ঘদিন একসঙ্গে কাজ করতে হয়। সে জন্য নিজেরা যদি বোঝাপড়া করে, ভালো গল্পে নিজ নিজ চরিত্র সুন্দরভাবে ফুটিয়ে তোলার চেষ্টা করি, দর্শক অবশ্যই নাটক দেখবে।
প্রশ্ন: বর্তমানে অনলাইনে দর্শকদের মন্তব্যগুলো আপনার কাছে আনন্দের নাকি ভয়ের?
নাদিয়া: অনলাইনে মানুষ এখন সরাসরি মন্তব্য করতে পারেন। আমি মনে করি এটা আসলে আনন্দের। আমি যেহেতু ছোটবেলা থেকে নৃত্যশিল্পের সঙ্গে জড়িত, তাই সরাসরি দর্শকদের সাড়া বা মন্তব্য শুনে অভ্যস্ত। এটা খুব উপভোগ করি। এ মন্তব্যের কারণে শিল্পীরা আরও সচেতন হতে পারেন।
প্রশ্ন: ভিউয়ের বাজারে কখনো কি মনে হয় অভিনেত্রী হিসাবে সঠিক মূল্যায়ন পাচ্ছেন না?
নাদিয়া: সম্প্রতি আমাদের সহকর্মী ইন্তেখাব দিনার একটি অনুষ্ঠানে বলেছেন, ভিউয়ের বাজারে আমরা হারিয়েই যাচ্ছিলাম। তিনি ভিউহীনদের নিজের পুরস্কার উৎসর্গ করেছেন। সেই জায়গা থেকে বলব, পুরো পৃথিবীর ওটিটিতে কিন্তু সব ধরনের অভিনয়শিল্পীকে নিয়ে এক্সপেরিমেন্ট করা হচ্ছে। দর্শকদের কাছে কিন্তু সব ধরনের অভিনয়শিল্পীর চাহিদা রয়েছে। চাহিদা নেই বলে একটি জিনিস ছড়ানো হয়, কিন্তু এটা সত্য নয়। এর মাধ্যমে কিন্তু শিল্পীদের মধ্যে একটা বিভাজন তৈরি করা হচ্ছে। আমি বলব, সবাই মিলেই ইন্ডাস্ট্রিতে কাজ করতে হবে।