
২৬ মে শুক্রবার বিকেলে দলীয় কার্যালয়ের সামনের সড়কে চাঁদপুর জেলা বিএনপি আয়োজিত জনসমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেছেন, আওয়ামী লীগসহ অন্যান্য রাজনৈতিক দল যখন তত্ত্বাবধায়কের দাবিতে আন্দোলন করেছিল, তখন কিন্তু দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া দেশের স্বার্থে সেই দাবি মেনে নিয়েছিলেন। আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এসে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা কৌশলে বাতিল করে দিয়েছে। আর আজ সেই সময়ে এসেছে সেই তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবি আদায়ের।
সরকারের
মনিরুল হক আরও বলেন, আমার নেত্রী জেল মেনে নিয়েছেন, কারাগার মেনে নিয়েছেন, নিজের ছেলের লাশ বহন করেছেন, কিন্তু আপোস করেননি। আরেক ছেলে বিদেশে নির্বাসিত জীবন পার করছেন। দেশের জন্য গণতন্ত্রের জন্য বিএনপি ত্যাগ স্বীকার করে চলেছে। সময় এসেছে । ঈমানকে শক্ত করেন। আগামী ৪-৫ মাসের আন্দোলন সংগ্রামের মধ্যে দিয়ে গণতন্ত্রের বিজয় লাভ করবে। বিগত দিনে প্রমাণ হয়েছে চাঁদপুরের মানুষ আন্দোলন প্রিয়।
জেলা বিএনপির সভাপতি শেখ ফরিদ আহমেদ মানিকের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন কুমিল্লা বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক হাজী মোস্তাক মিয়া, কেন্দ্রীয় বিএনপির প্রশিক্ষণ বিষয়ক সম্পাদক আলহাজ রাশেদা বেগম হীরা, ব্যাংকিং ও রাজস্ব বিষয়ক সম্পাদক লায়ন হারুনুর রশিদ, ফরিদগঞ্জ উপজেলা বিএনপি’র সমন্বায়ক ও বিএনপি নেতা আলহাজ এমএ হান্নান, কুমিল্লা বিভাগীয় সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক সাইদুল হক সাঈদ প্রমুখ।
জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক অ্যাড. সলিম উল্যাহ সেলিম ও সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক মুনির চৌধুরীর যৌথ সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন জেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক সেলিম উস সালাম, খলিলুর রহমান গাজী, পৌর বিএনপির সভাপতি আক্তার হোসেন মাঝি, সাধারণ সম্পাদক অ্যাড. হারুনুর রশিদ, জেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম সম্পাদক অ্যাড. জহির উদ্দিন বাবর, সদর উপজেলা বিএনপি সভাপতি শাহজালাল মিশন, সাধারণ সম্পাদক অ্যাড. জাহাঙ্গীর হোসেন খান, সাবেক সাধারণ সম্পাদক অ্যাড. সামছুল ইসলাম মন্টু, পৌর বিএনপির জ্যেষ্ঠ সহ সভাপতি আফজাল হোসেন ও জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য সচিব ইব্রাহিম কাজী জুয়েল প্রমুখ ।
সমাবেশের আগে নেতাকর্মীরা খণ্ড খণ্ড মিছিল নিয়ে দলীয় কার্যালয়ের সামনে উপস্থিত হন।